






বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। আইসিসি কর্তৃক ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় ভেন্যুটি। এরপর ওই বছরই একটি টেস্ট ও পাঁচটি একদিনের ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ।







তবে দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আর খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।গত ২০১৩ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে দেওয়া একটি চিঠিতে বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মাঠ হস্তান্তরের কথা







জানায় বিসিবি। এবার সেই স্টেডিয়ামকে ভেন্যুর তালিকা থেকেই বাদ দিয়ে এনএসসির কাছে হস্তান্তর করেছে বিসিবি। একইসঙ্গে স্টেডিয়ামে থাকা বিসিবির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।এজন্য শুক্রবার বিকেলে







স্টেডিয়ামের মূল গেটের সামনে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এআরসি স্পোর্টিং ক্লাব এবং সচেতন বগুড়াবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এ সময় বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে







বিসিবির এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।বক্তারা বলেন, বিসিবির এমন আচরণে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। কেবল জাতীয় দলের মুশফিকুর রহিম, শরিফুল ইসলামই নয়, এখান থেকে উঠে এসেছে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের তামিম







ও তৌহিদ হৃদয়। এ ছাড়া খাদিজাতুল কোবরা, শারমিন সুলতানা,ঋতু মনিসহ আরও অনেক নারী ক্রিকেটারের উত্থানের পেছনে ভূমিকা রয়েছে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের। বিসিবির স্টাফ ও কোচরাই তাদের হাতেখড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখান
থেকে বিসিবি চলে গেলে বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটার তৈরিতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। খেলাধুলা না থাকলে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা বিপথে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।এর আগে, গত বুধবার (১ মার্চ) স্টেডিয়াম
থেকে লোকবলসহ মালামাল গুটিয়ে নেওয়ার জন্য এক বিবৃতি দেয় বিসিবি। এতে স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা বিসিবির ১৭ কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঢাকায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। তবে মালামাল গাড়িতে উঠাতে বিলম্ব হওয়ায় শনিবার
রিপোর্ট করবেন বলে জানা যায়।উল্লেখ্য, মানববন্ধনে আবুল হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আতিকুর রহমান মেহেদী, জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জাহিদ ইকবাল জিতু,
এআরসি স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান পিয়াস, সাধারণ সম্পাদক নূর আলম, ক্লাবের টিম ম্যানেজার রাকিবুজ্জামান উৎসব, ক্লাবের সদস্য নূরনবী, জান্নাতুল নাঈম, সিহাব, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম রঞ্জনা প্রমুখ।