






মাঠের কোন ম্যাচ জয়ের পরে ক্রিকেটাররা একে অপরের জড়িয়ে ধরাটা খুব স্বাভাবিক। তেমনটাই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ জয়ের পরে তামিম এবং সাকিবের জড়িয়ে ধরে। সিরিজ জয়ের উদযাপন টা বেশ দারুন ছিল। উদযাপন দেখে কেউ







কখনো মনে করতো না সাকিব এবং তামিম এর মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে।তবে গত একদিন আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন খেলাধুলা বিষয়ক এক গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেন, যে তামিম এবং সাকিবের মধ্যে







দ্বন্দ্ব থাকায় বাংলাদেশ ক্রিকেটে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই কথার পর গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড সিরিজ এর আগে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয় বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নাজমুল হাসান পাপনের বলা সেই ব্যাপারে







সাংবাদিকদের প্রশ্নে তামিম বিষয়টি স্বীকার করে নেন এবং শান্তির বার্তা জানান।তামিমের সংবাদ সম্মেলনের তথ্যটা অনেক পুরোনো। কিন্তু বিসিবি সভাপতির সাক্ষাৎকারের পর প্রসঙ্গটাই বদলে যায়। তামিমও জানতেন সে কথা। তাই তো মোটামুটি







প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন বলে জানান তিনি, ‘কাল থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। আসলে এত সাংবাদিক এক রুমে—কোনো দিন এমন প্রেস কনফারেন্স করিনি। আমি প্রস্তুত ছিলাম, আমি জানতাম এ ধরনের প্রশ্ন আসবে। আমি চাইলে এড়িয়ে যেতে পারতাম;







কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, আমার বার্তাটা গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সাংবাদিকই নন, যারা বাংলাদেশ ক্রিকেট ফলো করে, যারা সাকিবের ভক্ত কিংবা আমার ভক্ত সবার জন্য।’দ্বন্দ্ব থাকলেও দলের ভেতর কোনো গ্রুপিং নেই বলে নিশ্চিত করেছেন তামিম।







১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে কখনো ছিল বলেও মনে করেন না ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘আমি ১৭ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছি। আমি বিভিন্ন সময় দেখেছি, যখনই দল ভালো খেলত না, তখনই এ টার্মটা কেন যেন ব্যবহার করা হয়। অমুক গ্রুপ,
এই গ্রুপ, সেই গ্রুপ— শুধু বলার জন্য বলা নয়। আমাকে যারা চেনেন তারা জানেন, আমি খুব খোলামেলা মানুষ। কোনো কিছু লুকাই না, কম দেখে বলি না। যা দেখি সোজা বলব, ভালো লাগবে কি না আপনার ব্যাপার। আমি ১৬ বছর আগেও
গ্রুপিং দেখিনি, ১০ বছর আগেও দেখিনি, এখনো দেখছি না। গত ছয় মাস আমি দলের সঙ্গে ছিলাম না। এই ছয় মাসে যদি এটা তৈরি হয়ে থাকে, তা আমি জানি না।’সাকিবের সঙ্গে তামিমের সমস্যা অল্পদিনের নয়, অনেকদিন ধরেই
তিক্ততার সঙ্গে বাড়ে দূরত্বও। অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুজনেই ছিলেন দুজনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। ভবিষ্যতে আবারও সেই সাকিব-তামিমকে দেখা সম্ভব কি? এমন প্রশ্নে তামিমের সহজ উত্তর, ‘সম্ভব সবকিছুই।’