






দেশের নারী ফুটবলের অর্জনের তালিকাটা দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। বয়সভিত্তিক ফুটবলে দেশের নারী ফুটবলাররা যে অপ্রতিরোধ্য, তার প্রমাণ তারা বারবার দিয়েছেন। সিনিয়র সাফ জয়ের পর সবশেষ দেশের মাটিতে সাফ অনূর্ধ্ব-২০







চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জয় করেছেন তারা।পুরুষ ফুটবল দলের যেমন দৈন্যদশা ঠিক তার বিপরীত চিত্র নারী ফুটবলে। সাফল্য আসছে দু-হাত ভরে। এত এত সাফল্যের পরও তাদের ভাগ্য ফেরেনি।সাফ জয়ের পর কিছু সংবর্ধনা







পেলেও বেতন আগের মতোই। এজন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন- বাফুফের প্রেসিডেন্টের কাছে কিছু দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন নারী ফুটবলাররা।কাজী সালাউদ্দীনের কাছে নারী ফুটবলাররা জানান, কেউ তাদের কাছে বেতন সম্পর্কে







জানতে চাইলে তারা লজ্জা পান। বিষয়টি আজ আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনে নিজেই জানিয়েছেন বাফুফে প্রধান, ‘নারী জাতীয় ফুটবলাররা আমাদের কাছে কিছু চাহিদার কথা জানিয়েছে। ওরা বলেছে ওদের কাছে কেউ







বেতনের কথা জানতে চাইলে ওরা বলতে লজ্জা পায়; এতটাই কম বেতন পায় ওরা। এটা সঠিক। ওরা যে চাহিদা আমাদের কাছে জানিয়েছে সেটা পুরোটাই যৌক্তিক। ’নারী ফুটবলাররা বর্তমানে ১০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। তবে







তারা বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা বেতন দাবি করেছেন। এর সঙ্গে খাবার এবং অন্যান্য কিছু চাহিদার কথা তারা প্রেসিডেন্টের কাছে জানিয়েছেন। নারী ফুটবলারদের এই চাহিদা বিবেচনা করে দ্রুতই তা পূরণের চেষ্টা করছেন







বলে জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দীন।তিনি বলেন, ‘তারা যে সকল চাহিদা জানিয়েছেন বর্তমান সময়ের বিচারে তা যৌক্তিক। আমরা তাদের দাবি পূরণের চেষ্টা করছি। তারা ৫০ হাজার বেতন চেয়েছেন, আমরা এর কাছাকাছি কিছু
করার চেষ্টা করছি। ’‘খাবারের বিষয়েও তারা একটি চাহিদার কথা জানিয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি খেলোয়াড়ের পেছনে প্রতিদিন খাবারের জন্য ৭০০ টাকা ব্যয় হয়। তাদের যে খাবারের চাহিদা আমাদের কাছে দেয়া হয়েছে তাতে প্রতি জনের
পেছনে প্রতিদিন ১১০০-১২০০ টাকার মতো খরচ হবে। আমরা চেষ্টা করছি যেন তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারি। ’নারী ফুটবলে স্পন্সর সংকটের কারণ দেখিয়ে সালাউদ্দীন বলেন, ‘নারী ফুটবলারদের চাহিদা পূরণের মতো
আমাদের কাছে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ফান্ড নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুতই তাদের চাহিদা পূরণ করার। আমরা বেশ কিছু যায়গায় ইতোমধ্যেই কথা বলেছি আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারবো। ’