






এখন শেষ হয়নি এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ। নারী টি-২০ বিশ্বকাপে এবারের আসরে একটি ম্যাচও জিতেনি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বিশ্ব মঞ্চের এমন আসরে এমনকি ম্যাচ জয়ের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেনি তারা।







তবুও জাহানারা আলমের মতে, এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কয়েকটি ‘ক্লোজ গেম’ খেলেছে। ম্যাচ হারে ভাগ্যকেই দায়ী করছেন বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ পেসার জাহানারা আলম।চলমান নারী টি-২০ বিশ্বকাপে খেলা চার







ম্যাচের সবকটিতেই চরম ভাবে হারে হতাশ বাংলাদেশ। একে একে শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হারে তারা। বিশেষত ব্যাটিং ব্যর্থতায় এসেছে এই হারগুলো।আসরের প্রথম ম্যাচে







শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ করে ১২৬ রান। এছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৭, তৃতীয় ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৮ এবং সর্বশেষ সসাগতিক সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৩ রান করে তারা। অল্প পুঁজির পর







বল হাতেও ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিতে শুরুতে মারুফা আক্তার তিনটি উইকেট নেয়ায় কিছুটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। যদিও ম্যাচ এগিয়ে গেলে সেই সম্ভাবনা উড়ে যায়। অন্য কোনো ম্যাচেই







জয়ের মতো পরিস্থিতিই তৈরি করেনি তারা।তবুও জাহানারা বলেন, ‘এটা আমাদের পঞ্চম বিশ্বকাপ। প্রতিটি বিশ্বকাপ দলের গর্বিত সদস্যা আমি। এবারের বিশ্বকাপকে তবু আমি ব্যতিক্রম মনে করি। এবার তিনটি ম্যাচে খুব







কাছাকাছি গিয়েছিলাম আমরা… শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া এবং আজকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। নিউ জিল্যান্ড ম্যাচই শুধু ব্যতিক্রম। তিনটি ম্যাচে আমরা কাছাকাছি ছিলাম।’
‘হয়তো ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না। আশা
করি, পরের বিশ্বকাপে ভাগ্যকে পাশে পাব আমরা। আমাতের ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়ে আরও কাজ করব। পরিকল্পনার বাস্তবায়ন আমরা আরও ভালোভাবে করব। এখান থেকে অনেক কিছু আমরা বয়ে নিতে পারব। অনেক
ম্যাচ আছে সামনে। আশা করি সেই ইতিবাচক দিকগুলো আমরা কাজে লাগাব।’পুরো আসরে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে মাত্র এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৭ রানের একটি
ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এ ছাড়া আর কেউ ৪০ রানও করতে পারেননি।২০১৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটানা ১৬ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদশ। মূলত বড় দলগুলোর সঙ্গে
খেলার অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণেই এমন হার বলে মনে করছেন জাহানারা। একইসঙ্গে পরের বিশ্বকাপ নিয়ে আশার আলো দেখাচ্ছেন তারকা এই পেসার।জাহানারা আরও বলেন, ‘পাঁচটি বিশ্বকাপ খেললেও ইংল্যান্ড,
অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গে, এমনকি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না আমরা। কোনো দলের বিপক্ষেই বেশি খেলতে পারিনি। মাত্র কয়েকটি
ম্যাচ খেলতে পেরেছি। দুই বছর পরপর বিশ্বকাপে এরকম ম্যাচ খেলতে পারি।”এবারের পর সামনে ভিন্ন কিছু আপনারা দেখতে পাবেন। কারণ, আমরা এফটিপিতে থাকব (আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপ), অনেক
ম্যাচ আমাদের অপেক্ষায়। বেশি ম্যাচ খেলতে পারব আমরা, পরিস্থিতি সামলানোর অভিজ্ঞতা হবে আরও। যেমনটি আগে বললাম, এবার তিনটি ম্যাচে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম আমরা। যদি আমাদের অভিজ্ঞতা থাকত, তাহলে অন্যরকম হতে পারত। এই বিশ্বকাপের পর অন্যরকম কিছু দেখতে পারবেন।’