






আমার মা-বাবা নাই, আমি অন্যায় করি নাই, ও আল্লাহ আমি অন্যায় করি নাই। এভাবে আদালত পাড়ায় চিৎকার করে কান্না করতে করতে এ আকুতি করে সাজা প্রাপ্ত আসামী। এসময় তাকে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলে সান্ত্বনা







দিতে দেখা যায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানার আদালতে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এজলাস থেকে







বের করার সময় এমন চিৎকার করে কান্না করেন মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. ইসমাইল হোসেন। মো. ইসমাইল জাহাজমারা গ্রামের মৃত মমিন উল্যহার ছেলে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামে মা নূর







জাহানকে (৫৮) পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও হত্যার পরে পাঁচ টুকরো করার ঘটনায় ছেলে হুমায়ন কবিরসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এসময় আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ জন আসামি। আসামিদের প্রত্যেককে







আরও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জাহাজমারা গ্রামের হুমায়ন কবির (২৯), নীরব (২৮), কসাই নূর ইসলাম (২৮), দুলাল আবুল কালাম মামুন (২৮), মিলাদ হোসেন মামুন (২৮), ইসমাইল হোসেন (৩৫) এবং হামিদ (৩৫)।







ইসমাইলের ভাই ইমরান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, রায় শোনার পরই তার ভাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভাইকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আমাদের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই, তাই ভাইয়ের মনে কষ্ট বেশি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের জাহাজমারায় খুন হন নূর জাহান। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর পাঁচ টুকরো করে প্রতিবেশীর ধান খেতে টুকরোগুলো ফেলে রাখে
নিহতের ছেলে হুমায়নু কবির ও তার সহযোগীসহ ছয়জনে। মূলত সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাকে খুন করে ছেলে হুমায়ুন কবির ও তার সহযোগীরা।সূত্র জানায়, নূর জাহানের প্রথম সংসারের ছেলে বেলাল হোসেন মারা যায় ২০১৮ সালে।
মৃত্যুর সময় বেলাল কয়েক লাখ টাকা ঋণ করে যান। ওই ছেলের ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দ্বিতীয় সংসারের ছেলে হুমায়ুনের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় মা নূর জাহানের। এক পর্যায়ে মাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ছেলে। তার সঙ্গে এ পরিকল্পনায় শামিল হন বন্ধু, প্রতিবেশী ও স্বজনরাও। সকলের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে খুন করা হয় নুর জাহানকে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল বলেন, মামলার সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মামলার সাতজন আসামির প্রত্যেকে হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। জবানবন্দীতে রেকর্ড রয়েছে, তারা কে কিভাবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত।