বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চার নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। অবশ্য এবারের আসরের পথচলাটা সুখকর ছিল না মেসিদের জন্য। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের







কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা জাগে। কিন্তু সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনা এখন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকো, তৃতীয় ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে এবং শেষ ষোলোর ম্যাচে







অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোল জয় নিয়ে কোয়ার্টারে পা রাখে। সেখানে আজ নেদারল্যান্ডসকে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা পেয়েছে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে। আগামী ১৩







ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়ার সেমিফাইনাল। এই ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়তে পারেন মেসি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দীর্ঘদিন ধরে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ







গোলদাতার রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন বাতিস্তুতা। ডাচদের বিপক্ষে গোল করে সে রেকর্ড ভাগ বসান মেসি। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১০ গোল করেছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা। এতদিন একাই রাজত্ব







করেছিলেন এই স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপে এখন মেসির গোলসংখ্যাও এখন দশ। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেন মেসি। আর্জেন্টিনার শেষ চারে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মেসিরই। পিএসজির এই তারকা এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত করেছেন ৪
গোল। এখন কেবল অপেক্ষা তাকে ছাড়িয়ে যাবার। আর একটি গোল হলেই মেসি ছাড়িয়ে যাবেন বাতিস্তুতাকে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক বনে যাবেন মেসি। মেসি বিশ্বকাপের আগের চার আসরে মেসি মোট
গোল করেছিলেন ৬টি। সেই ৬ গোল নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন কাতারের মাটিতে। পরে গ্রুপপর্বে ২টি ও শেষ ষোলোতে ১টি গোল করে কিংবদন্তি ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে যান পিএসজি তারকা। সামনে ছিলেন বাতিস্তুতা। ডাচদের বিপক্ষে ছুঁয়ে
ফেললেন তাকেও। আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও এখন মেসির। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ম্যারাডোনার রেকর্ডকেও তিনি ছাড়িয়ে গেছেন। বিশ্বকাপে ২১টি ম্যাচ খেলে শীর্ষে ছিলেন ম্যারাডোনা। ওইদিকে মেসির ম্যাচ সংখ্যা এখন ২৩টি।