






ঢাকায় শীত ঠিক ঝেঁকে বসেতে চেয়েও পারছে না। তবুও শীতের ভোরে এখনও কুয়াশা দেখা যায় এই রাজধানীতে। বিশেষ করে মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ফাঁকা মাঠে কুয়াশাটাই দখল করে রাখে এই সবুজ গালিচাটাকে।







সেই কুয়াশা জড়ানো ভোরে ইতিহাস গড়ার হাতছানিতে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের এগারো দামাল। প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের সুবাস পাচ্ছে টাইগার ক্রিকেটাররা।ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-







টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয় পেলেও টেস্টে এলেই যেন ধরা পড়ে যায় বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১২ টেস্ট খেলেও ১০টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২টি ড্র করেছে দুই দল। যে দুটি ড্র করেছে সেখানেও বৃষ্টির ছোঁয়া ছিল।







তবে চলমান টেস্ট ম্যাচে জয়ের আশা করতেই পারে টাইগাররা। যদিও এই টেস্টেও সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভারতীয়রাই। টেস্টে দুই দলের মধ্যকার প্রথম ইনিংসের হিসেবে এগিয়েই ছিল ভারত। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে







যেখানে ২২৭ রান করেছেন। সেখানে ভারতীয়রা করেছিল ৩১৪ রান। এগিয়ে ছিল পাক্কা ৮৭ রানে।বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতে ছিল বেশ বিপাকে। টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সাকিবরা।







সেখান থেকে জাকির হাসানের ৫১ এবং লিটন দাসের ৭৩ রানের উপর ভর করে ২৩১ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়াও ৩১ রান করে আসে যথাক্রমে নুরুল হাসান সোহান এবং তাসকিন আহমেদের ব্যাট থেকে।







ভারতীয়দের পাঁচ বোলারের প্রত্যেকেই উইকেট বাগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আক্সার প্যাটেল। ২টি করে শিকার করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং মোহাম্মদ সিরাজ।এদিকে দ্বিতীয় ইনিংস শেষে বাংলাদেশ মোটে ১৪৪ রানের
লিড নিতে পারে। ফলে মনে হচ্ছিল সহজ হারের দিকেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। তবে ভিন্ন ভাবনা ছিল বাংলাদেশের বোলারদের।সাকিব তাই দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিং শুরু করেছিলেন দুই প্রান্তে দুই স্পিনার দিয়ে। অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তকে
সঠিক প্রমাণ করেছেন অধিনায়ক নিজেই। ভারতের ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নেন সাকিবই।ভারতের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে ২ রান করতেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান। এরপর সাকিব নিজে বোলিং থেকে সরে গিয়ে নিয়ে
আসেন মেহেদী হাসান মিরাজকে।এই ডানহাতি স্পিনার রীতিমতো একাই ধসিয়ে দিতে থাকেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। শেষ বিকেলে ৮ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট তুলে নেন মিরাজ। তিনটি উইকেটই বড় বড় নাম। প্রথমে চেতেশ্বর পূজারাকে
আউট করেন তিনি। এরপর ফেরান শুভমান গিলকে। দুইজনই ফেরেন স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে।এরপর দিন শেষ হওয়ার তিন ওভার আগে ফেরান বিরাট কোহলিকেও। ১ রান করা কোহলি মিরাজের বলে বোকা বনে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন।
নিচু ক্যাচটি তালুবন্দী করতে কোনো ভুলই করেননি মুমিনুল হক।দিনশেষে ভারত করতে পেরেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান। টেস্টের চতুর্থ দিন ভারতকে জিততে হলে করতে হবে বরাবর ১০০ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছয়টি ভালো বল। সেই ছয় বলে ছয় উইকেট তুলে নিতে পারলেই প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ফরম্যাটে ইতিহাস গড়তে পারবে বাংলাদেশ।