






বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে দিয়াগো ম্যারাডোনাকে স্মরণ করলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বসেরা হওয়ার লক্ষ্যে কখনো দমে যাননি.জানিয়েছেন এলএমটেন। নিজ শহর রোজারিওতে ফিরে সংবর্ধনায় সিক্ত ক্ষুদে জাদুকর। আপনি এক জীবনে সবকিছু পাবেন না।







কিছু পেতে হলে কিছু ত্যাগ করতেই হবে। কিংবদন্তি দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনার কথাই ধরা যাক। এত প্রাপ্তি এত সফলতার মাঝেও শীষ্য, অনুজদের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে।







বিশ্বকাপ মানেই ছিল ফুটবল ইশ্বরের সরব উপস্থিতি। মাঠে খেলতেন মেসি, আগুয়েরোরা মাঠের বাইরের স্পটলাইট কেড়ে নিতেন ম্যারাডোনা। আলবিসেলেস্তেদের সাফল্য দেখতে বার বার ছুটে যেতেন মাঠে। ফিরতেন একরাশ অভিমান নিয়ে।







তিনি আজ নেই। কিন্তু একজন মেসি আর একদল যোদ্ধা তার স্বপ্ন ধারণ করেছেন। দিয়েছেন পূর্ণতা। তাইতো চারিদিকে সাজসাজ রবে মেসি ভুলে যাননি ম্যারাডোনাকে।আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি বলেন, স্বর্গ থেকে ম্যারাডোনা আমাদের







অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে যারা আমাদের উপর ভরসা রেখে গেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সব সাবেকদের জন্যই আমার এ শিরোপা। ক্লাব জার্সিতে সফল জাতীয় দলে ব্যর্থ মেসি। এমন সমালোচনায় বারবার বিদ্ধ হয়েছেন।







দেড় বছরের ব্যধানে নিন্দুকদের হাসির পাত্রে পরিণত করেছেন ক্ষুদে জাদুকর। স্বয়ং ফিফা মেসির ছবি দিয়ে টুইট করে জানিয়েছেন গ্রেটেস্ট অব অল টাইম নিয়ে আর কোন তর্ক নয়। কিন্তু পথটা কতটা বন্ধুর আল লম্বা ছিল শুধু মেসিই জানতেন।







লিওনেল মেসি বলেন, আমি সবসময় স্বপ্ন দেখেছি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেটা পূরণ হবে কিনা ভাবিনি। চেষ্টা করে গিয়েছি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।এদিকে ওলে ওলে লিও লিও ধনীতে মুখরিত রোজারি। প্রথমে বিমান, তারপর হেলিক্পটার যোগে
নিজ শহরে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। একই এলাকায় জন্ম নেয়া অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়াও ছিলেন সঙ্গী হয়ে। মেসি যাদের কাছে ঘরের ছেলে, পাড়া প্রতিবেশি মাত্রা ছাড়িয়েছে তাদের আনন্দ, উল্লাস। লোকাল বয়কে একনজর দেখতে রাস্তায় নেমে পড়েন তারা। সাবেক ফুটবলার কিলি গঞ্জালেজের সঙ্গেও দেখা করেন মেসি, ডি মারিয়ারা।