






ডিয়াগো ম্যারাডোনার পরে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব কিছু জিতেছেন তিনি। রেকর্ড ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তার গোলের সংখ্যা হাজারের দিকে ছুটছে। এতো কিছুর পরে ডিয়াগোর সঙ্গে







অমিলও আছে মেসির। তিনি বিশ্বকাপ জেতেননি। তিনি ম্যারাডোনার মতো রাগী নন। অনেকের চোখে, ম্যারাডোনার মতো নেতাও নন মেসি। ম্যারাডোনার ক্যারিয়ার একের পর এক বিতর্কে মোড়ানো। মাঠে মারামারি থেকে হাত দিয়ে গোল করা,







ড্রাগ নেওয়া, ফিফা, আর্জেন্টিনার ফেডারেশনকে সমালোচনা করা সবদিকেই তিনি ছিলেন অনন্য। অন্যদিকে মেসির ক্যারিয়ার ‘কলঙ্কহীন’। মাঠে তাকে মেজাজ হারাতে, বেফাঁস মন্তব্য করতে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে ঝগড়া করতে কিংবা ইঙ্গিত







করে উদযাপন করতে কমই দেখা গেছে। কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ‘রাগী’ওই মেসিকে দেখা গেছে। তিনি পেনাল্টি থেকে গোল করে ইঙ্গিতপূর্ণ উদযাপন করেছেন। তিনি রেফারির সঙ্গে মাঠে তর্কে জড়িয়ে হলুদ







কার্ড দেখেছেন। ম্যাচ শেষে ডাচ কোচ ফন গালকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেছেন। রেফারিতে নিয়েও কড়া মন্তব্য করেছেন। রাগী এই মেসিকে আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্ডার জাবালেতার ভালো লেগেছে। তার মতে, যেন মেসির মধ্যে ম্যারাডোনা
ভর করেছে! আর্জেন্টিনার সাবেক রাইট ব্যাক বলেছেন, ‘ম্যাচ শেষে যেভাবে মেসি উদযাপন করেছে, ফন গালকে নিয়ে যা বলেছে, তার প্রতিক্রিয়া আমার ভালো লেগেছে। রাগী মেসি মানেই বিশেষ কিছু, যাকে আমরা দেখতে চাই। এটা আমাকে
কিছুটা ম্যারাডোনাকে স্মরণ করাচ্ছে, ওমনই এক চরিত্র। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এমন আচরণ খারাপ না।’ তরুণ আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের মেসির বডিগার্ড বলেও উল্লেখ করেছেন মেসির সঙ্গে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা
জাবালেতা, ‘এই দলের অধিকাংশ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছে। তরুণ দল এবং মেসি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সব সময় দেখি, তারা মেসির পেছনে হাঁটছে। টানেল দিয়ে যাওয়ার সময়, মাঠে আসার সময়, মাঠেও তারা মেসির দেহরক্ষীর মতো আচরণ
করে। মেসি বিশ্বকাপের প্রতিটি মিনিট উপভোগ করছে এবং তরুণরা তার জন্য লড়ছে।’ মেসি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন, এবারও ফাইনালের লড়াইয়ে আছে তার দল। ওই বিশ্বকাপ এবং এই আসরের মধ্যে পার্থক্য হলো এটি মেসির
শেষ বিশ্বকাপ। জাবালেতার মতে, মেসির শেষ নৃত্য দেখার সুযোগ। সেজন্য দলের সকলেই একটা বিশ্বকাপ জেতা জরুরি মনে করে খেলছে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলে তা হবে বিশেষ কিছু। তবে দলের ওপর চাপও আছে। কারণ হারলেই যে স্বপ্ন শেষ।