






কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে লুসাইল স্টেডিয়াম দেখলো লিওনেল মেসি শো। আর এতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হলো ক্রোয়েশিয়ার হৃদয়।বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা।







লিওনেল মেসি করেছে ২ গোল। অথচ প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে মিশন শুরু হয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। আজ বুধবার ম্যাচশেষে গণমাধ্যমে কথা বলেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তিনি বলেন,সৌদি আরবের কাছে পরাজয়







আমাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল।কারণ, এর আগে টানা ৩৬ ম্যাচ হারের স্বাদ নিয়ে কাতারে এসেছিলাম আমরা। বিশ্বকাপে এভাবে শুরু করাটা বড় ধাক্কাই ছিল। আমরা কল্পনা করতে পারিনি, সৌদি আরবের কাছে হারতে পারি। সাতবারের







ব্যালন ডিঅর জয়ী ফুটবলার বলেন,পরের ম্যাচগুলো আমাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা ছিল। তবে সময় যত গড়িয়েছে, প্রমাণ করতে পেরেছি আমরা কতটা শক্তিশালী দল। পরবর্তী প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা ফাইনাল মনে করেছিলাম। কারণ, জানতাম







হেরে গেলে পরিস্থিতি আমাদের জন্য জটিল হবে। ৩৫ বছর বয়সী ম্যাজিসিয়ান বলেন, আমাদের ওপর এক ধরনের মানসিক চাপ ছিল। তবে সেটা আমরা কাটিয়ে উঠেছি। পরের পাঁচ ফাইনালেই (ম্যাচ) আমরা জিতেছি। আশা করি, চূড়ান্ত
খেলায়ও তা-ই হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও জয় পাব। মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলার ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি। হাফটাইমের আগে একক নৈপুণ্যে লক্ষ্যভেদ করে
ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুলিয়ান আলভারেজ। আর শেষদিকে মেসির জাদুকরী অ্যাসিস্ট নিশানাভেদ করেন তিনি। এতে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন আলবিসেলেস্তেরা। এতে লুকা মদ্রিচদের উড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে তারা। প্রসঙ্গত সি
গ্রুপে আর্জেন্টিনার সূচনাটা মোটেও ভালো ছিল না। তুলনামূলক খর্বাশক্তির সৌদির কাছে ২-১ গোলে হেরে অভিযান শুরু হয় আলবিসেলেস্তেদের। তবে একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মেসি।