






এক মন্তব্যের জেরে ল্যাটিনের দলগুলোকে এক সুতোয় গেঁথেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। বছরের শুরুতে তার এক মন্তব্য দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলারদের তাতিয়ে দেয়। তিনি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, ইউরোপের মতো







ল্যাটিনের ফুটবল এগোয়নি। বিগত ২০ বছরের ইতিহাস টেনে তিনি জানান, সেজন্য তারা বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।যদিও এমবাপ্পের এমন বক্তব্যের পর ল্যাটিন ও ইউরোপের শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ পেয়ে যায় ফুটবল বিশ্ব। কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন







হিসেবে ল্যাটিনের দেশ আর্জেন্টিনা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইউরোপের দেশ ইতালি লা ফিনালিসিমা ট্রফিতে মুখোমুখি হয়। যেখানে ল্যাটিনের শৈল্পিক ফুটবলের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে ইউরোপ।ইতিহাস ঘাটলে এমবাপ্পের কথা মিথ্যা নয়।







২০০২ বিশ্বকাপের সবশেষ ল্যাটিনের দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ওই ব্রাজিল পরের পাঁচ আসরে ফাইনালের মুখ দেখেনি। নিজেদের মহাদেশে আর্জেন্টিনা ২০১৪ বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও জিততে পারেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে







আর্জেন্টিনা শেষ ষোলোয় এবং ব্রাজিল শেষ আটে বিদায় নিয়েছিল।লা ফিনালিসিমায় ল্যাটিনের জয়ের পরও বিষয়টি থামছিল না। কেননা ল্যাটিনের কোনও দেশ যে গত চার আসর ধরে শিরোপা ঘরে তুলতে ব্যর্থ। অবশেষ ল্যাটিন আর ইউরোপের







শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কে সেরা তা দেখানোর মঞ্চ পেয়ে বসে বিশ্বকাপ ফাইনাল। যেখানে ল্যাটিন থেকে আর্জেন্টিনা ও ইউরোপ থেকে ফ্রান্স মুখোমুখি হয়।বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে নামার আগে আবারও ল্যাটিন-ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি
নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তিনি বলেছিলেন, এমবাপ্পে ফুটবল যথেষ্ট বোঝে না। সে তো কখনও দক্ষিণ আমেরিকায় খেলেনি। যেহেতু আপনার সেই অভিজ্ঞতা নেই। তাই এটা নিয়ে কথা না
বলাই ভালো। তবে এসব কোনো ব্যাপার নয়। আমরা গ্রেট একটা দল, সেটা স্বীকৃত।তবে মার্টিনেজ যে মন্তব্যটা শুধু মুখের কথায় ছিল না। মাঠের লড়াই শেষে মার্টিনেজের কথারই প্রতিফলন ঘটালো আর্জেন্টিনা। ইউরোপের দেশ ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলল আলবিসেলেস্তেরা। সেই সঙ্গে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাল।