বিগত রাতে মরক্কোকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল ফ্রান্স। আর এরপর থেকে শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই। বিশেষ করে মেসি ও এমবাপ্পেকে নিয়ে। কে বিশ্ব সেরা মেসি না এমবাপ্পে। এই নিয়ে চলছে বিতর্ক। বিশ্বসেরা—কথাটা লিওনেল







মেসির ক্যারিয়ারে বহু ব্যবহারে প্রায় ‘ক্লিশে’ হয়ে পড়েছে। কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও বিশ্বসেরাদের একজন হিসেবে ধরা হয়। এ সময়ের খেলোয়াড়দের মধ্যে তো বটেই।কাল রাতে সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২–০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার







মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত করে ফ্রান্স। অর্থাৎ, ফাইনালে দেখা যাবে মেসি ও এমবাপ্পের লড়াই। এই ম্যাচ কি দুজনের মধ্যে কে বিশ্বসেরা, সেটাও নির্ধারণ করে দেবে? মাত্র এক ম্যাচ বিচার করেই এই রায় দেওয়া খুব কঠিন, সেটি যতই বিশ্বকাপের ফাইনাল হোক।







তবে ফাইনালে মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়ার পর তাঁকে বিশ্বসেরাদের একজন বলেন ফ্রান্সের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আঁতোয়ান গ্রিজমান। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, এই কথা ফ্রান্সের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার অরেলিয়াঁ







চুয়ামেনিকে জানানোর পর তাঁর প্রতিক্রিয়া ফাইনালে মেসি–এমবাপ্পের লড়াইয়ে ভিন্ন মাত্র যোগ করেছে। মেসি–এমবাপ্পে দুজনেই পিএসজিতে সতীর্থ। তবে রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে দুজনেই তা ভুলে যাবেন।নিজ নিজ দেশের হয়ে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেবেন







দুই তারকা। মেসিকে নিয়ে গ্রিজমানের প্রশংসা শোনার পর রিয়াল মাদ্রিদ তারকা চুয়ামেনি অবশ্য সে পথে হাঁটেননি। তাঁর পথটা উল্টো, ‘আমার কাছে এমবাপ্পেই সেরা…রোববার সে এটা দেখিয়ে দেবে।’ কাতার বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সমান ৫ করে গোল করেছেন







মেসি ও এমবাপ্পে।‘গোল্ডেন বুট’ জয়ের দৌড়ে এই দুই খেলোয়াড় বাকিদের চেয়ে এগিয়ে। মেসিও ‘গোল্ডেন বল’ জয়ের দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছেন। এ পর্যন্ত ৩টি গোল বানিয়েছেন। করেছেন ৫ গোল। আর্জেন্টিনার ফাইনালে উঠে আসার পথে তাঁর
চেয়ে বেশি অবদান নেই আর কারও। মেসি ও এমবাপ্পেকে ‘অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়’ বলেই মনে করেন চুয়ামেনি।ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েও রোমাঞ্চিত ২২ বছর বয়সী এই তরুণ, ‘আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
মেসির বিপক্ষে খেলার সুযোগ তো বিশেষ কিছু। সে গ্রেট খেলোয়াড়।’ চুয়ামেনির যুক্তি, শুধু মেসি নয় আর্জেন্টিনার বাকিদের নিয়েও ভাবতে হবে। কারণ ফুটবল ‘২২ জনের খেলা।’
ঠিক যেভাবে আর্জেন্টিনাকেও শুধু এমবাপ্পে নয়, ফ্রান্স দলের বাকিদের নিয়েও
পরিকল্পনা করতে হবে। চুয়ামেনি সে কথাই জানালেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। মেসি থাকবে, তার সঙ্গে আরও ১০ খেলোয়াড়ও থাকবে। কাজটা কঠিন হবে।’