






১৯৮৬ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফি জিতেছে আর্জেন্টিনা । লিওনেল মেসির বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার পূর্ণতা পেয়েছে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে । সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মেসির হাতে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি দেখে আবেগে







আপ্লুত ভক্তরা । কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে , পুরো আসরের মতো ফাইনালেও আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে দেয়া হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে । ‘ফেয়ার-প্লে’ স্লোগানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে প্রহসনের মাধ্যমে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেয়া হয়েছে আর্জেন্টিনার কাছে ।







রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) লুসাইল স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্স মুখোমুখি হয়েছিল । ম্যাচটি ১২০ মিনিট লড়াইয়ের পর অমিমাংসিত থেকে যায় ৩-৩ গোলে । পরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ







জিতে নেয় আর্জেন্টিনা ।অথচ ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ানো দুরের কথা , অতিরিক্ত সময়েই যাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না । কারণ ম্যাচের আর্জেন্টিনার তিনটি গোলই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ , এক কথায় অবৈধ । ম্যাচের প্রথম গোলটি আর্জেন্টিনা পায় পেনাল্টি থেকে ।







ইএসপিএন’ জেনারেল এডিটর ডেল জনসন লিখেছেন , ‘ ২১ মিনিটে ডি মারিয়াকে যে ফাউলের জন্য পেনাল্টি প্রদান করা হয়েছে , সেটা প্রশ্নবিদ্ধ । কারণ ডি মারিয়া বল নিয়ে উসমান ডেম্বেলের শরীরের সাথেই লাগতে চেয়েছেন । কিন্তু তারপরেও ডেম্বেলের







সাথে মারিয়ার সংযোগ অবৈধ ছিল না । পোলিশ রেফারি সাইমন মারসিয়ানিক var দেখেও এই পেনাল্টি সিদ্ধান্ত বদলান নি । আসলে তিনি পেনাল্টি দেবেন , এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন । ‘দ্বিতীয় গোলটি আর্জেন্টিনা পেয়েছে দুর্দান্ত দলীয় পারফর্মেন্সে । আনহেল







ডি মারিয়ার এই গোলটি ছিল ম্যাচে আর্জেন্টিনার একমাত্র বৈধ গোল । কিন্তু ১০৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি ছিল অফ সাইডের ফসল । মেসির কাছ থেকে এঞ্জো ফার্নান্দেজ যখন বলটি পান , তার আগেই তিনি ছিলেন অফ সাইড পজিশনে । তার শট ফ্রান্স
কিপার হুগো লরিস ঠেকিয়ে দেয়ার পর ফিরতি শটে বল লাইন অতিক্রম করান মেসি । কিন্তু ফার্নান্দেজের ক্ষেত্রে অফ সাইড প্রযুক্তির কোন ব্যবহার করা হয় নি । যা ছিল চরম বিস্ময়ের ।অফ সাইড ছাড়াও গোলটি বাতিল হওয়ার কথা মাঠে অতিরিক্ত খেলোয়াড়
উপস্থিতির কারণে । মেসির গোলের আগেই উত্তেজিত দুই আর্জেন্টাইন ফুটবলার ঢুকে পড়েন মাঠের ভেতর । অর্থাৎ মেসির গোলের সময়ে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় সংখ্যা ছিল ১৩ জন ! অথচ রেফারি এই বিষয় সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে অবৈধ গোলটির বৈধতা দেন ।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও গোল হওয়ার পর রেফারি যদি লক্ষ্য করেন গোলের আগেই অতিরিক্ত খেলোয়াড় মাঠে তাহলে গোল বাতিল করে পুনরায় খেলা শুরু করতে হবে। অতিরিক্ত খেলোয়াড় মাঠের যেখানে ছিলেন সেখান থেকে ফ্রি-কিকের মাধ্যমে খেলা
শুরু হবে। কিন্তু রেফারি সেই পথে হাঁটেন নি । হাঁটার আসলে কারণ ছিল না । কারণ ২০২২ সালের বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই মেসিদের হাতে দেয়া হবে , এটা ছিল পরিকল্পিত । যে কারণে ম্যাচের পর ম্যাচে অবৈধ পেনাল্টি , মেসির ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবলে কার্ড না
দেখিয়ে লাল কার্ড থেকে বাঁচিয়ে দেয়া (যা হলে মেসি খেলতে পারতেন না সেমিতে) আর ফাইনালে অফসাইড গোল বৈধ করে দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে নীল-নকশা ।অথচ সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মেসির হাতে একটি নিষ্কলুষ বিশ্বকাপ
দেখলে কেউ অখুশী থাকত না । কিন্তু ১৯৭৮ সালের মতো আরও একটি বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনাকে দিয়ে দেয়া হয়েছে স্থুল কারসাজির মাধ্যমে । যা নতুন করে কলংক তিলক এঁকে দিয়েছে ফুটবলের নামের পাশে ।