পাকিস্তান শেষ দিকে এসে আর পারলো না। সাউদ শাকিলের অসাধারণ লড়াই সত্ত্বেও ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানকে হারতে হলো ৭৪ রানের ব্যবধানে। অথচ আর কিছুক্ষণ টিকতে পারলে ম্যাচটি হয়তো বাঁচাতে পারতো বাবর আজমের দল।







তবে ম্যাচে পরাজয় হলেও রাওয়ালপিন্ডিতে অসাধারণ একটি টেস্ট ম্যাচ খেলা হলো। প্রথম ইনিংসে দুই দলই খেলেছে বিশাল বড় রানের ইনিংস। ইংলিশরা তো প্রথম ইনিংসে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলো। একদিনেই তুলেছিলো ৫০০ প্লাস রান।







তাও মাত্র ৭৫ ওভারে। এরপর পাকিস্তানি বোলারদের তাণ্ডব। ৬৫৭ রানে শেষ ইংলিশদের ইনিংস। চারটি সেঞ্চুরি হলো ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে। জ্যাক ক্রাউলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ এবং হ্যারি ব্রুকস খেলেন সেঞ্চুরি ইনিংস।







জবাব দিতে নেমে কম যায়নি পাকিস্তানও। তিন সেঞ্চুরিতে তারাও করেছে ৫৭৯ রান। আবদুল্লাহ শফিক, ইমাম-উল হক এবং বাবর আজম করেন সেঞ্চুরি। ৭৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ৭ উইকেট হারিয়ে







২৬৪ রান করার পর ইনিংস ছেড়ে দেয় তারা। সব মিলিয়ে পাস্তিানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৩ রানের। পাকিস্তানের সামনে চতুর্থ দিনের একটি সেশন এবং পঞ্চম দিনের পুরোটা বাকি রেখেই মাত্র ৩৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ছেড়ে দেয় ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।







রীতিমতো দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। বড় ধরনের জুয়া খেলার মত। জুয়ায় হয় হারবেন না হয় জিতবেন। মাঝে অন্য কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন স্টোকস। সে ঝুঁকিটাই নিলেন। এবং শেষ পর্যন্ত স্টোকসই জয়ী। চতুর্থ দিন শেষে ২০







ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল পাকিস্তানের। পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তা খেলেছে আরও ৭৩ ওভার। কিন্তু বাকি ২৬৩ রান করতে পারেনি। এই ৭৩ ওভারে মাত্র ১৮৮ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে বাবর আজমের দল। তবুও শেষ







পর্যন্ত টিকতে পারলো না। অলআউট হতে হলো বেন স্টোকসদের কাছে। অলি রবিনসন এবং জেমস এন্ডারসন মিলেই তুলে নেন পাকিস্তানের ৮ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস এবং জ্যাক লিচ। এর মধ্যে সাউদ শাকিল করেন







৭৬ রান। ১৫৯ বল খেলেন তিনি। ইমাম উল হক করেন ৪৮, আজহার আলি করেন ৪০, মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ৪৬ রান। আগা সালমানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ রান। বাবর আজম মাত্র ৪ রানে আউট হয়ে যান। ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।