






ফাইনালে মেসি-এমবাপ্পেদের উপর নজর থাকলেও। ডাগআউট মাতাবেন দুই ট্যাকটিশিয়ান লিওনেল স্কালোনি ও দিদিয়ের দেশম। স্কালোনি ও দিদিয়ের দেশম দুজনের প্রথম দেখাটা হবে শুধুই এগিয়ে যাবার। মাঠে খেলেন ফুটবলাররা। তবে তাদের পরিচালনার







দায়িত্বটা কোচের উপর। লুসাইলের ফাইনালে তাই ডাগআউটে নজর থাকবে দুই ট্যাকটিশিয়ান দিদিয়ের দেশম ও লিওনেল স্কালোনির দিকে।টানা তিন ফাইনাল হারা মানসিকভাবে ভঙ্গুর এক আর্জেন্টিনা দলের দায়িত্ব নেন লিওনেল স্কালোনি। সময়টা ২০১৮,







তার যাদুর ছোঁয়ায় যেন বদলে যায় আলবিসেলেস্তে।স্কালোনির অধীনে ৫৬ ম্যাচে জয় ৩৭টি। ড্র ১৪ আর হেরেছে মাত্র ৫ ম্যাচ। জয়ের হার ৬৬ শতাংশ। রবার্তো মানচিনির ইতালির চেয়ে ১ ধাপ পিছিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা তার অধীনেই







গড়ে আর্জেন্টিনা।২৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা। ইতালিকে হারিয়ে পেয়েছেন লা ফিনালিসিমা ট্রফিও। এবার আরাধ্য বিশ্বকাপের অপেক্ষা।নির্দিষ্ট কোনও ছকে নয়, প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা আর দুর্বলতা মাথায় রেখে কৌশল







সাজান লিওনেল স্কালোনি। পছন্দের ফরমেশন ৪-৪-২ ও ৪-৩-৩। ফাইনালে এমবাপ্পে, জিরুদদের আটকাতে রক্ষণে জোর দিতে পারেন এই মাস্টার মাইন্ড।বিপরীতে দিদিয়ের দেশম, নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার চ্যালেঞ্জ। ফুটবলার এবং কোচ দুই পরিচয়েই জিতেছেন







বিশ্বকাপ। এবার চোখ টানা দ্বিতীয় শিরোপায়। এক দশক ধরে ফরাসি ফুটবল তার দায়িত্বে। ৬৪ শতাংশ জয়ের হার নিয়ে দেশমের অধীনে লে ব্লুরা খেলেছে ১৩৮ ম্যাচ। জয় ৮৯টি, হার ২২ ম্যাচে।সেরা সাফল্য ২০১৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। জিতেছেন উয়েফা নেশন্স লিগ।







আর ২০১৬ সালে খুব কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ট্র্রফি।আগে গোল করে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতেই পছন্দ অভিজ্ঞ দিদিয়ের দেশমের। এমবাপ্পে, জিরুদ, গ্রিজশ্যানদের দিয়ে খেলান হাই প্রেসিং ফুটবল।এর আগে কখনো মুখোমুখি হননি দুই মাস্টার মাইন্ড। তাই দুজনের জন্যই ফাইনালটা এগিয়ে যাবার।