






৩৬ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। তাই তো আর্জেন্টাইন উল্লাস ছিলো বাঁধভাঙা। গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে







হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের দুই দিন পর মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ২.২০ মিনিটে মেসি-ডি মারিয়াদের নিয়ে আর্জেন্টিনায় অবতরণ করে তাদের বিমান। সেখান থেকেই







লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দিরা সোজা চলে যান বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষমাণ ছাদখোলা বাসে। সে বাসে করেই শহর প্রদক্ষিণ করেন তারা। বুয়েনস এইরেসের রাস্তায় গভীর রাতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার







ভক্ত-সমর্থকের অভিনন্দনের জবাব দিয়েছেন মেসিরা। কিন্তু বাস প্যারেডের মধ্যেই অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান মেসিসহ পাঁচ আর্জেন্টাইন ফুটবলার।ছাদ খোলা বাসের সব থেকে উপরে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি ছাড়াও বসে







ছিলেন ফাইনালে একটি করে গোল আদায় করা ও গোল করা অ্যাঞ্জেলো ডি মারিয়া, রদ্রিগো ডি পল, নিকোলাস ওটামেন্ডি ও লিয়ান্দ্রো পারদেস।বিশ্বকাপের রেপ্লিকা ট্রফিটি মেসি নিজের হাতেই রেখেছিলেন। রাতের অন্ধকারে বিজয় উদযাপনে







প্রানবন্ত ছিলেন মেসি-ডি মারিয়ারা। কিন্তু মেসিদের বহন করা ছাদখোলা বাসটি একটি রাস্তার মোড় ঘুরতেই রাস্তার মাঝে ঝুলন্ত তার এসে পড়ে তাদের সামনে। সঙ্গে কাটা পড়তে নিচ্ছিলেন। দ্রুতই তারা মাথা নিচু করে ফেলায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার







হাত থেকে বেঁচে যান। তবে এক পাশে থাকা লিয়ান্দ্রো পারদেস মুখমণ্ডলে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। মাথায় থাকা টুপিও হারিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার। এক সেকেন্ডের কম সময় পর হলে হয়তো চারজনই তারে বেধে নিচে পড়ে যেতে পারতেন।
হতে পারতো বড় দুর্ঘটনা।ইএসপিএন আর্জেন্টিনা নিজেদের ভেরিফাইড টুইটার হ্যান্ডেলে এ ভিডিওটি শেয়ার করেছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মিরর, টাইমস নাউনিউজ এ সংবাদ নিশ্চিত করেছে। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের
এজেজা বিমান বন্দরে মেসি-ডি মারিয়াদের বহনকারী বিমান থামার সঙ্গে সঙ্গেই কোচ লিওনেল স্কালোনির সঙ্গে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে প্রথমে নেমে আসেন অধিনায়ক মেসি। হাজার হাজার মানুষ আনন্দধ্বনিতে স্বাগত জানায় আর্জেন্টিনা দলকে। মেসি
এর পরপরই ট্রফি হাতে গিয়ে ওঠেন বাসের ছাদে। উল্লেখ্য, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে ফ্রান্সের সঙ্গে ম্যাচটি নির্ধারিত ও ইনজুরি টাইমে ৩-৩ গোল সমতা বিরাজ করায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আর্জেন্টিনা ৪-২ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে
তৃতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রয়াত কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালে শেষবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে মেসির সামনে সুযোগ আসলেও শেষ পর্যন্ত তা পূরণ হয়নি।
৩৬ বছর পর আবার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে মেসির হাত ধরে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেল আর্জেন্টিনা।ব্যক্তিগত পুরস্কারেও এগিয়ে ছিল আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা। একমাত্র গোল্ডেন বুট জিতেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এছাড়া গোল্ডেন বল মেসি, গোল্ডেন গ্লাভস এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন এনজো ফার্নান্দেজ।
https://help.twitter.com/en/twitter-for-websites-ads-info-and-privacy