নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ওঠার পর আরও দুটি ম্যাচ হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে শেষ চারে উঠেছে ফ্রান্স। এর আগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো







সেমিফাইনালে উঠেছে মরক্কো। এ দুটি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এখনো কাটেনি আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের রেশ। ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা আর লিওনেল মেসিকে নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই খেলতে চেয়েছিলেন







নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গাল। সেটা করতে গিয়ে তিনি আর্জেন্টিনা আর মেসিকে নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন, যেটা মোটেই পছন্দ হয়নি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের। তবে ম্যাচের আগে কিছুই বলেননি তাঁরা। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে







সেমিফাইনালে ওঠার পর মাঠে উদ্দাম উদ্যাপনে বুঝিয়ে দিয়েছেন সব। মাঠে ও মাঠের বাইরে লিওনেল মেসির বিনয়ী হিসেবে বেশ সুনাম আছে। চিরশান্ত সেই মেসিও কিনা ম্যাচের পর হয়ে গেলেন অন্য রকম! ম্যাচ শেষে টিওয়াইসি







স্পোর্টসকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় নেদারল্যান্ডসের ফরোয়ার্ড ভাউট ভোগহোর্স্টকে ধমক দিয়েছেন তিনি। এই ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২-২ গোলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। এ ছাড়া মেসি জয় উদ্যাপন







করতে একবার চলে গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের ডাগআউটের কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি ডাচ কোচ ফন গালের দিকে তাকিয়ে কানে হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে উদ্যাপন করেন। এরও আগে টাইব্রেকার শেষ হওয়ার পরপরই নিকোলাস
ওতামেন্দি ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস হতাশায় ভেঙে পড়া ডাচ খেলোয়াড়দের সামনে যান। সেখানে তাঁরা কানের কাছে হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে উদ্যাপন করেন জয়। পরে এটা গনসালো মনতিয়েল, মেসি, আনহেল দি মারিয়া আর অ্যালেক্সিস ম্যাক
অ্যালিস্টারও করেছেন। সব মিলিয়ে ম্যাচ শেষে ফিফা তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাউকে কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। ফিফা থেকে জানানো হয়েছে, উদ্দাম উদ্যাপন সেন্সরের আওতায় আনা হবে না। নেদারল্যান্ডসের
খেলোয়াড়দের সামনে গিয়ে জয় উদ্যাপন করা নিয়ে ওতামেন্দি বলেছেন, ‘পেনাল্টি নিতে যাওয়ার সময় আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছে গিয়ে ওদের একজন কিছু বলছিল। এ কারণেই আমি ওদের সামনে গিয়ে এভাবে উদ্যাপন করেছি।’