বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। খেলার মূল পর্ব ২-২ সমতায় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ও শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ম্যাচ ড্র-







ই থেকে যায়। ফলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। এতে ৪-৩ ব্যবধানে জেতে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের এই ম্যাচে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, লিওনেল মেসি ও ওয়াউট ওয়েঘর্টসের পাশাপাশি আলোচনায় ছিলেন আরো একজন, তিনি







হলেন স্প্যানিশ রেফারি আন্তনিও মাতেও লাহজ। ম্যাচে তিনি এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা নিয়ে দুই দলই বেশ অসন্তুষ্ট। এই ম্যাচে আন্তনিও হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন ১৮টি, বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। ডাচ ও আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কার্ড







দেখিয়েছেন সমান ৮টি করে। এমনকি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি ও সহকারী ওয়াল্টার স্যামুয়েলকেও। এরপরই ম্যাচ শেষে রেফারিং নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেন মেসি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আর তাতেই







নড়েচড়ে বসেছে ফিফা। রেফারির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করার কারণে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। শনিবার ফিফার শৃঙ্খলাজনিত কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এটি নিয়ে আলোচনা হয়। যেখানে







ফিফার গভর্নিং বডির সদস্যরা আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছে বলেও জানানো হয়। ওই ম্যাচেই রেফারির হলুদ কার্ডসহ ডাচ কোচের বিপক্ষে বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সমালোচিত হতে হয়েছে মেসি ও এমিলিয়ানো
মার্তিনেসকে।তবে ফিফা বলছে এতে সেমিতে কোনো সমস্যা হবে না তাদের। ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটি আজ এক বিবৃতিতে জানায়, রেফারি মাতেও লাহোস, ডাচ কোচ লুইস ফন গালের বিপক্ষে কথা বলায় লিওনেল মেসি ও এমি মার্তিনেস
কোনো পেনাল্টি পায়নি। এই বিবৃতির পর নিশ্চিত হয়েছে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মার্কোস আকুনা এবং গনসালো মন্তিয়েল ছাড়া বাকি সবাই মাঠে নামতে পারবে।