






আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ১৯৮৬ সালে। ওই বিশ্বকাপ ছিল দিয়াগো ম্যারাডোনাময়। ফুটবল ঈশ্বর খ্যাত দিয়াগো ওই আসরে দুর্দান্ত সব গোল করেছিলেন। গোলে সহায়তা দেয়াতেও ছিলেন অনন্য। কিন্তু অল্পের জন্য আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা







ও সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তা দেয়ার কীর্তিটা হয়নি তার। ওই বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা পাঁচ গোল করেছিলেন। সহায়তা দিয়েছিলেন আসরের সর্বোচ্চ পাঁচ গোলে।কিন্তু গ্যারি লিনেকার ছয় গোল করায় এক আসরে সর্বোচ্চ গোল ও সর্বোচ্চ গোলে সহায়তা দেয়ার







রেকর্ড হয়নি তার। এবার মেসির সামনে বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আসরের সর্বোচ্চ গোল ও সর্বোচ্চ গোলে সহায়তা দেয়ার রেকর্ড গড়ার সুযোগ। তিনি যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করেছেন। তার সমান পাঁচ গোল







করেছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে।মেসি যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাও দিয়েছেন। তিনি তিন গোলের কারিগর। তার সমান গোলে সহায়তা দিয়েছেন পর্তুগালের ব্রুনো ফার্নান্দেজ, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন এবং ফ্রান্সের অঁতোয়ান গ্রিজম্যান।







মেসি ফাইনালে এক গোল করলে ও এক গোলে সহায়তা দিলে অন্যদের ছাড়িয়ে যাবেন। অনন্য কীর্তি গড়বেন। লিওনেল মেসি ২০১৪ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জিতে আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন।এবারও তার সামনে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন







বল এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের সুযোগ আছে। এর আগে ব্রাজিলের রোনালদো ২০০২ সালে গোল্ডেন বুট এবং ১৯৯৮ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন।দিয়াগো ম্যারাডোনার অল্পের জন্য যেমন ‘জোড়া মুকুট’-এর রেকর্ড গড়তে পারেননি।
তেমনি জার্মানির থমাস মুলার ২০১০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ গোলে সহায়তার কীর্তি গড়ার পথে ছিলেন।স্পেন চ্যাম্পিয়ন হলেও ওই আসরে মুলার যৌথভাবে ৫ গোল করেছিলেন। তবে এক ম্যাচ কম খেলায় তিনি গোল্ডেন বুট জেতেন। ওই আসরে
যৌথভাবে তিন গোলে সহয়তা দিয়েছিলেন তিনি। তবে কাকা এক ম্যাচ কম খেলে তিন সহায়তা দেয়ায় ওই রেকর্ড তার হয়নি।