রোমাঞ্চের অলিগলি পেরিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। ফেবারিট ব্রাজিলকে হারিয়ে শেষ চারে উঠেছেন লুকা মদরিচরা। সেমিফাইনালে তাঁদের সামনে এবার আরও







বড় পরীক্ষা। কারণ, সেমিফাইনাল মানেই তো আর্জেন্টিনা ফেবারিট! প্রতিপক্ষে যে দলই হোক।কাতার বিশ্বকাপের আগে এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল খেলেছে আর্জেন্টিনা। যেখানে একবারও হারের মুখ দেখতে হয়নি তাদের। বিশ্বকাপ







ফুটবলের প্রথম আসরেই সেমিফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। এরপর ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে, ১৯৯০ সালে ন্য রকম। আর্জেন্টিনায় হওয়া সে বিশ্বকাপে প্রথমে ১৬টা দল ৪ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে। সেই চার গ্রুপের আট দল আবার







দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই গ্রুপে ভাগ হয়। এই দুই গ্রুপের সেরা দুই দল খেলেছে ফাইনাল। আর্জেন্টিনা-যুক্তরাষ্ট্র, (উরুগুয়ে বিশ্বকাপ, ১৯৩০) আশ্চর্য শোনালেও যুক্তরাষ্ট্রকে উরুগুয়ে বিশ্বকাপে অনেকেই ফেবারিট মনে করেছিলেন। শেষ চারের







লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে তারাই ছিল এগিয়ে। তবে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে যুক্তরাষ্ট্র হারে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে। আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লুইস মন্তি, আলেহান্দ্রো স্কোপেয়ি, গিলের্মো স্তাবিলে ও কার্লোস পেকুসেয়ে।







আর্জেন্টিনা-বেলজিয়াম (মেক্সিকো বিশ্বকাপ, ১৯৮৬) সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ডিয়েগো ম্যারাডোনার অনন্য ফুটবল প্রদর্শনীতে ২-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫২ ও ৬৩ মিনিটে দুটি গোল করেন ম্যারাডোনা। সেবারই
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সেরা একক পারফরম্যান্স করেছিলেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনা-ইতালি ( ইতালি বিশ্বকাপ, ১৯৯০) ইতালির বিপক্ষে সেমিফাইনালে ১-১ গোলে ড্র করে আর্জেন্টিনা। তবে
ট্রাইব্রেকারে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক গয়কোচিয়ার বীরত্বে ৪-৩ গোলের জয় পায় তারা। যদিও ’৯০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জার্মানির কাছে তাদের হারতে হয় ১-০ গোলে। আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস (ব্রাজিল বিশ্বকাপ, ২০১৪) নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে
সেমিফাইনালটা ১২০ মিনিটেও ছিল গোলশূন্য। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন মেসি। তবে গোলরক্ষক সের্হিও রোমেরো সেদিন গয়কোচিয়া হয়ে উঠেছিলেন। দারুণ সব সেভের পর টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দেন দু-দুটি
শট। তাতেই খোলে ফাইনালের দরজা। ১৯৯০ বিশ্বকাপের মতো সেবারও শিরোপা হাতছাড়া হয় জার্মানির কাছে হেরে।