শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে ফুটবল কিংবদন্তি পেলের। তিনি এখন জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অন্ত্রের ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপিতেও তার শরীর এখন আর সাড়া দিচ্ছে না।







বর্তমানে তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়েছে বলে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে তার মেয়ে ফ্লাবিয়া নাসিমেন্টো জানান, পেলের শারীরিক অবস্থা মোটেও অতি সঙ্কটজনক নয়।







অসুস্থ হলেও স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। পেলের অসুস্থতা নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তা ঠিক নয়। পেলের শারীরিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে গ্লোবে টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্লাবিয়া বলেন, অনেকে বলছেন বাবা মৃত্যুমুখে রয়েছেন। তাকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ।







যারা এই খবর প্রচার করছেন, তারা ঠিক করছেন না। আমাদের বিশ্বাস করুন। পরিস্থিতি একদমই তেমন নয়। পেলের শারীরিক পরিস্থিতি অতি সঙ্কটজনক বলে শনিবার ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।







তা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন পেলের পরিবারের কোনো সদস্য। এই ধরনের সংবাদ পরিবেশনকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছেন ফ্লাবিয়া। প্রকাশিত খবরে অসন্তুষ্ট পেলের আর এক মেয়ে কেলিও। তিনি জানিয়েছেন, তিন সপ্তাহ আগে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন পেলে।







তারপর থেকে তার শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হচ্ছে। কেলি বলেছেন, বাবা অসুস্থ। উনার বয়স হয়েছে। এখন শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা চলছে। একটু ভাল হলেই বাড়ি ফিরবেন। আপাতত কয়েক দিন বাবাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।’







রোববার হাসপাতালের রিপোর্টের ছবি দিয়ে পেলে নিজেও ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি লেখেন, আমার বন্ধুরা, সকলকে শান্ত এবং ইতিবাচক রাখতে চাই। আমি শক্তিশালীই রয়েছি। যথেষ্ট আশাবাদী আমি। যথাযথ ভাবেই চিকিৎসা চলছে।







আমার সব চিকিৎসক এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওরা খুব যত্ন করছেন আমাকে। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বুধবার তাকে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।







বিশ্বকাপের মধ্যেই তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি ফুটবলপ্রেমীদের চিন্তা বাড়িয়ে দেয়।