






২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাইজেরিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে এসেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। প্রীতি ম্যাচের সাক্ষী হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে জয়লাভ করে।







সে যাই হোক, সুখবর হচ্ছে দীর্ঘদিন পর আবারো মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার আলোচনা চলছে বলে জানাচ্ছে আর্জেন্টিনার সংবাদ মাধ্যম ‘ক্লারিন’। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ভক্তদের আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা এক করে দিয়েছে দুই







দেশকে।‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন্নেসা মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।সাদিয়া ফয়জুন্নেসা ব্রাজিলে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা,







বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও চিলিতেও কূটনৈতিক দূতের দায়িত্ব পালন করেন। আর্জেন্টিনার জাতীয় সংবাদ সংস্থা ‘তেলাম’কে তিনি বলেছেন, ‘আমরা মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চাই।’ সাদিয়া ফয়জুন্নেসার এই মন্তব্য প্রকাশ করেছে ‘ক্লারিন’।







সাদিয়া ফয়জুন্নেসা আরও বলেছেন, ‘আমরা এটা (মেসিকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার) করার চেষ্টা করব। বাংলাদেশে আমরা একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চাই। মেসি (বাংলাদেশে) খুব জনপ্রিয়। আমরাও ফুটবলের জন্য আর্জেন্টাইনদের ভালোবাসি।







তাই আমাদের দেশে তাকে (মেসি) পাওয়া হবে সম্মানের ব্যাপার।’আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের কথাও বলেছেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, ‘আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন আছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার







পর আর্জেন্টিনা দ্রুত স্বীকৃতি দিয়েছিল আমাদের।’বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩–০ গোলের জয়ে আর্জেন্টাইনরা বাংলাদেশের পতাকা হাতে জয় উদ্যাপন করেছেন। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের নিয়েও কথা
বলেছেন সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, ‘বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ আর্জেন্টিনার খেলা দেখেন। ছোটবেলায় আমরা ঘরে বসে খেলা দেখেছি। কিন্তু এখন বিভিন্ন শহরে বড় পর্দায় দেখানো হয়। রাত তিনটায় লোকজন জড়ো হয়ে খেলা দেখেন।’আর্জেন্টিনার এই সংবাদমাধ্যম
জানিয়েছে, ফুটবল দিয়ে আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের এই বন্ধনের যাত্রাটা শুরু হয়েছে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ঘোষণার পর। বাংলাদেশে আগামী বছর পুনরায় দূতাবাস খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৯৭৮
সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার দূতাবাস বন্ধ করা হয়েছিল।আর্জেন্টিনা দল জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি, ‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন থাকায় ফুটবল (বাংলাদেশে) সব সময়ই জনপ্রিয় ছিল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলকে
নিয়ে বেশি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং কিংবদন্তিতে পরিণত হন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আমার মনে আছে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ তখন বিশ্বকাপ দেখেছে।’