






অ্যামেচার ফুটবল খেলার সময় সিমন মার্চিনিয়াক স্বপ্ন দেখতেন বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামার তার সেই চাওয়া একভাবে ‘পূরণ’ হচ্ছে এবার। তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয়, ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে।







এটাকেও অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন পোল্যান্ডের এই রেফারি।কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে মূল রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন ৪১ বছর বয়সী মার্চিনিয়াক। লুসাইল স্টেডিয়ামে আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শিরোপা







ঘরে তোলার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা।চলতি আসরে এই দুই দলের ম্যাচ আগেও পরিচালনা করেছেন মার্চিনিয়াক। গত ২৬ নভেম্বর গ্রুপ পর্বে ফ্রান্স-ডেনমার্ক ম্যাচ ও ৩ ডিসেম্বর শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের







দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দুটি ম্যাচেই ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা জেতে ২-১ ব্যবধানে।মার্চিনিয়াকের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল ফুটবলার হিসেবে মাঠে দাপিয়ে। কিন্তু সেই অধ্যায় বেশি দীর্ঘ হয়নি। ২১ বছর বয়সে রেফারিংয়ে নাম লেখা তিনি। ২৫ বছর বয়সে







এটিকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন।রেফারি হিসেবে ফিফার তালিকাভুক্ত হন ২০১১ সালে। ওই বছর ইউরোপা লিগের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পান। পরের বছর হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক। ২০১৫ সালের ইউরো অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপের







ফাইনালের প্রধান রেফারি ছিলেন মার্চিনিয়াক।বিশ্বকাপে পা পড়ে তার ২০১৮ আসরে। ওই বছরই উয়েফা সুপার কাপে রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলেতিকো মাদ্রিদের লড়াইয়ে বাঁশি ছিল তার হাতে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পেলেন আরও বড় দায়িত্ব ও সম্মান।







মার্চিনিয়াকের কাছে, বিশ্বকাপের ফাইনালে রেফারির দায়িত্ব পালন করা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই।“বিষয়টি বেশ ভালো লাগছে। শৈশব থেকে এটা আমার স্বপ্ন ছিল। একজন তরুণ ফুটবলার হিসেবে আমি ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। এখন
আমাকে রেফারি হিসেবে ফাইনালে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা করা আমার কাছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো।”আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স নিজেদের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলার জন্য লড়বে। দুই দলেই রয়েছে দারুণ সব খেলোয়াড়।
ম্যাচটির গুরুত্ব বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন মার্চিনিয়াক।“দারুণ একটি ম্যাচের প্রত্যাশা করছি। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স দলে বড় তারকারা রয়েছে, যারা যেকোনো সময় অসাধারণ কিছু করে ফেলতে সক্ষম। তাই আমাকে ম্যাচের প্রতিটি সেকেন্ডে মনোযোগী থাকতে হবে, মনোযোগ হারানো যাবে না।”