






আর্জেন্টিনার মানুষের কাছে বরাবর মতো ফুটবলের ‘ঈশ্বর’ দিয়েগো ম্যারাডোনা। তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে লিওনেল মেসির নামও বলা হয়। তবে দেশবাসীর হৃদয়ে ম্যারাডোনার যে স্থান, মেসি তা নিতে পারেননি বলেই মনে করেন অনেকে।







সমগ্র ফুটবলবিশ্ব যখন মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে মজেছে, তখন তার নিজের দেশের মানুষের কাছে মেসি কতটা প্রিয়, তা প্রকাশ করলেন সেই দেশের এক তরুণী সাংবাদিক।ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৩-০ ব্যবধানে







জয়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি বলেন, ‘আমি আপনাকে একটাই কথা বলতে চাই, ফাইনালে খেলার ফলাফল যাই হোক না কেন, একটা জিনিস আপনার থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সে







দেশের সাংবাদিক সোফিয়া মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি আপনাকে একটাই কথা বলতে চাই, ফাইনালে খেলার ফলাফল যাই হোক না কেন, একটা জিনিস আপনার থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।’সোফিয়া বলেন, ‘আপনার নাম আর্জেন্টিনার মানুষের







হৃদয়ে আছে। তাদের প্রত্যেকের মনে আপনি রয়েছেন। দেশে কোনও এক জন শিশুও নেই, যে আপনার নামের জার্সি কেনেনি। তা সে নকল হোক, সত্যি হোক, বা কারও বানানো হোক।’সোফিয়া আরও জানান, ‘আমার কাছে কোনও বিশ্বকাপ জেতার







চেয়েও বড় পাওয়া। এই সম্মান আপনার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আপনি অসংখ্য মানুষের জীবনে খুশির কারণ হয়ে উঠেছেন। সব কিছুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’সেমিফাইনালের পরেই মেসি ঘোষণা করে দিয়েছেন, দেশের







জন্য ফাইনালের ম্যাচই হবে তার শেষ খেলা। এরপর আর তাকে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে দেখা যাবে না।ফুটবলের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত ৭ বার বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। যে কোনও সাক্ষাৎকারে তার কাছে ফিরে ফিরে এসেছে একটাই প্রশ্ন, আরও
ব্যালন ডি’অর, না কি বিশ্বকাপ। মেসি বারবার উত্তর দিয়েছেন, বিশ্বকাপ হাতে নিয়ে চুম্বন করা তার চিরকালের স্বপ্ন। ফিফার বর্ষসেরার পুরস্কারের চেয়েও কয়েক গুণ দামি সেই সম্মান। তিনি দেশকে আরও একবার বিশ্বকাপ এনে দিতে চান। সেই স্বপ্ন পূরণে রোববার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে শেষ সুযোগ পাবেন মেসিরা।