গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত কাতার বিশ্বকাপে এখন বিদায়ের সুর বাজার অপেক্ষায়। আর মাত্র দুটি ম্যাচ এরপরই ভাঙবে মিলন মেলা। আগামী শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে আফ্রিকার দেশ মরক্কো। আর







পরদিন রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। এই ম্যাচ দুটিই ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের শেষ ম্যাচ। লুসাইলে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে শিরোপা উঠার মধ্যদিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বফুটবলের ২২তম আসরের। এখন পর্যন্ত







দলগুলোর পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় প্রকাশ করেছে ফুটবলবিষয়ক পোর্টাল গোলডটকম। প্রকাশিত সেই র্যাঙ্কিংয়ে সবার শীর্ষে রয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ফ্রান্সের







কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে, শীর্ষ দশেও জায়গা হয়নি রোনালদো ও নেইমারের। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা পান গোল্ডেন বুট আর টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পান গোল্ডেন বল। ব্যতিক্রম ব্যতীত সেমিফাইনাল ও ফাইনালে পৌঁছানো দলগুলো থেকেই কেউ না কেউ জেতেন সম্মানজনক পুরস্কার দুটি।







লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
আর্জেন্টিনা দলটি পুরো পুরো মেসি নির্ভর দল। যদিও বলা হয়ে থাকে তারা মেসি নির্ভর নয়। কিন্তু মাঠের খেলার তা স্পষ্ট না। ৩৪ বছর বয়সী এ খেলোয়াড় মেক্সিকোর বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে দুর্দান্ত ছিলেন। পোল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের ম্যাচে







অন্তত পাঁচটি ড্রিবল করেছেন। চলতি বিশ্বকাপে তিনি সর্বোচ্চ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে প্রথম আর্জেন্টাইন হিসেবে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন। চলতি বিশ্বকাপে ফাইনালের আগ পর্যন্ত ৫টি গোল করেছেন ও ৩টি
গোল করিয়েছেন। মেসি কাতারে অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে ওপেন প্লে থেকে বেশি সুযোগ তৈরি করেছেন।
কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স)
এমবাপ্পে যিনি কিনা এক বছর আগেও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের কথা ভেবেছিলেন। আর এখন ফ্রান্সের সঙ্গে আরও ইতিহাস লিখতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচে পাঁচ গোল
করেছেন, অ্যাসিস্ট করেছেন ২টি গোলে। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে দলের জয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোলও করেছিলেন এমবাপ্পে।
অঁতোয়ান গ্রিজম্যান (ফ্রান্স)
চলতি বিশ্বকাপে ফ্রান্সের এ তারকা এখন পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি। কিন্তু সেমিফাইনাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন তিনটি গোল।
সোফিয়ান আমরাবাত (মরক্কো)
পর্তুগালের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর ঐতিহাসিক জয়ে জয়ে সোফিয়ান আমরাবাতের পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। আমরাবাত কাতার বিশ্বকাপে সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হয়েছেন। সেমিফাইনালে দলকে জয় পেতে চেষ্টার কমতি ছিল না সোফিয়ানের। দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।
আশরাফ হাকিমি (মরক্কো)
প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পূর্ণ ফুলব্যাক হিসেবে গণ্য করা হয়ে আসছেন। আর কেন তিনি সেরা তা তিনি কাতারে দেখিয়েছেন। হাকিমি সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।