ক্যানসারের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই লড়াই করে যাচ্ছেন ৮২ বছর বয়সি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী পেলে। গত ২৯ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কেমোথেরাপি কাজ না করায় এই কিংবদন্তীকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়।







এরপরই ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যুর গুঞ্জন। অবশেষে তিনি নিজেই উড়িয়ে দিয়েছেন মৃত্যুর গুঞ্জন। জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে খেলতে দেখা তাকে শক্তি দেয়। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজেই ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের শারীরিক অবস্থার কথা জানান দেন পেলে।







এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএন। নিজের দেয়া বিবৃতিতে পেলে বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের সমর্থনে বার্তা দেন সেই সঙ্গে জানান, বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলা তাকে প্রচুর জীবনীশক্তি দেয়। এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল,







এখনো তার চিকিৎসা চলছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল। ইনস্টাগ্রামে পেলে বলেন, আমার বন্ধুরা, আমি চাই সকলে শান্ত ও ইতিবাচক থাকুন। আমি এখনো অনেক আশাবাদ নিয়ে শক্ত আছি এবং বরাবরের মতো চিকিৎসা নিচ্ছি। আমি যে ধরণের সেবা পাচ্ছি তার জন্য আমি গোটা মেডিকেল ও নার্সিং দলটাকে ধন্যবাদ দিতে চাই।







সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড পেলের। ১৯৫৮ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েই ব্রাজিলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বনে যান তিনি। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপেও শিরোপা জিতেন তিনি।







অধিকাংশ ফুটবলবোদ্ধ, তার সমসাময়িক ও পরের প্রজন্মের চোখে তিনিই ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। এদিকে, ফুটবল সম্রাটের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনায় বিশ্বজুড়ে ভক্ত-সমর্থকরা। সে তালিকায় আছেন সতীর্থ থেকে শুরু করে বর্তমান ফুটবলাররাও। পেলের জন্য প্রার্থনা জানিয়ে টুইট করেছেন তার







স্বদেশী রিভালদো এবং ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞ মঞ্চায়ন হচ্ছে। ফুটবল ইতিহাসের দুই গ্রেটের একজন দিয়াগো ম্যারাডোনা পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন বছর দুই আগে। পেলের ইচ্ছে ছিল কাতারে বসে খেলা উপভোগের। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সে ইচ্ছে পূরণ হয়নি।