গোলের পর নেচে তা উদযাপন করা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের সংস্কৃতিরই অংশ। তবে অনেকে সেলেসাওদের এমন উদযাপন পছন্দ করেন না। এটাকে প্রতিপক্ষের জন্য অসম্মানজনক উল্লেখ করে সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ।







ব্রাজিল কোচ তিতে তার শিষ্যদের গোল উদযাপনের এ ধরনের নাচকে সমর্থন দিয়ে বলেছেন, ‘এখানে কাউকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। এটা গোল কিংবা জয়ের পর আনন্দের প্রকাশ মাত্র। আমার দলের তরুণ খেলোয়াড়দের এই ভাষাটা আমি বুঝি।’







শিষ্যদের এই নাচ-আনন্দে শেষ পর্যন্ত যোগ দিয়েছেন কোচ তিতেও। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলর ম্যাচে জয়ের পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে নেচেছেন তিনিও। এটা নাকি ম্যাচের আগেই কোচকে খেলেয়াড়রা বলে রেখেছিলেন, ‘জিতলে







আপনাকেও নাচতে হবে।’ যার মানে ব্রাজিলের জয়রথ চলতে থাকলে কোচ তিতের নাচও চলতে থাকবে। খেলোয়াড়দের এই নাচ নিয়ে তিতে বলেছেন, ‘তারা অনেক তরুণ। আমি সব সময়ই এই তরুণদের মনের ভাষাটা বোঝার চেষ্টা করি। এই নাচও তাদের একটি ভাষা।’







কোরিয়ার বিপক্ষে রিচার্লিসন গোল করে ব্যবধান ৩-০ করার পর সাইড লাইনের পাশে গিয়ে নাচের উৎসবে যোগ দিতে কোচ তিতেকে আহবান করেন এবং সবাই হাত ধরে বৃত্ত তৈরি করেন। তারা কোচের চারপাশেও হাত রেখেছিলেন নাচে অংশ গ্রহণের জন্য।







খেলোয়াড়দের নাচ এবং সে নাচে তিতের অংশগ্রহণ কিছুটা পরিকল্পিতই ছিল। ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে সব বিষয়ে খাপ খাইয়ে নিতে এবং তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করি। খেলার আগে খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, যদি আমাকে নাচ শেখাও তাহলে আমি তোমাদের সঙ্গে নাচতে পারি’ – বলেছেন তিতে।







তবে এই নাচ নিয়ে নিজেদের সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন ব্রাজিল কোচ, ‘আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এমন কিছু মানুষ আছে যারা এটাকে খারাপভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করবেন এবং বোঝানোর চেষ্টা করবেন এইরকম নাচ প্রতিপক্ষের জন্য অসম্মানজনক।







আমাদের তেমন কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমি কোরিয়ান কোচকে অনেক দিন ধরে চিনি। তাকে অনেক সম্মানও করি। এটা দলের গোল ও পারফরম্যান্সে খুশি প্রকাশ করার উদযাপন।’ তরুণদের এমন উদযপনের আরেকটি কারণ ছিলো, দলে নেইমারের ফিরে আসা।







সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালিতে ব্যথা পাওয়ার পর গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে অনুপস্থিত ছিলেন দলের প্রাণভোমরা নেইমার। কোরিয়ার বিপক্ষে ১৩ মিনিটে নেইমারের পেনাল্টি গোলে ব্যবধান ২-০ করেছিল ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল







ম্যাচটি জিতেছে ৪-১ গোলে। ৯ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া।