পাঁচবারের রেকর্ড বিশ্বকাপ জেতা দল ব্রাজিল। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ এবং ২০০২ প্রতি বিশ্বকাপেই ব্রাজিলের ফাইনাল জেতা ইউরোপিয়ান দলকে হারিয়ে। ৫৮ সালের ফাইনালে সুইডেন, ৬২তে চেকোশ্লোভাকিয়া, ১৯৭০-এ ইতালি,







১৯৯৪ সালে ইতালি এবং ২০০২ সালে জার্মানীকে হারিয়ে তাদের বিশ্বসেরা হওয়া। অথচ এই ব্রাজিলেরই গত ২০ বছরে কোনো ইউরোপিয়া দলের বিপক্ষে নেই নক আউট পর্বে জয়। এই রাউন্ডগুলোতে ইউরোপিয়ার প্রতিপক্ষ মানেই







সেলেসাওদের হার এবং ছিটকে পড়া। কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারদের সামনে ইউরোপের দেশ ক্রোয়েশিয়া। পেলের শিষ্যরা কি পারবে ২০ বছর ধরে চলা বাজে নজিরের অবসান ঘটাতে। ২০০২ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে







যা কিছু জয় সবই নিজ মহাদেশ, আফ্রিকা বা এশিয়ান প্রতিপক্ষে বিপক্ষে। ২০০৬ জার্মান বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে রোনালদো নাজারিওরা ৩-০ গোলে হারায় ঘানাকে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল তাদের ০-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়







ফ্রান্সের কাছে। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে তারা ল্যাতিন আমেরিকার দল চিলিকে ৩-০তে উড়িয়ে শেষ আটে ওঠে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। কোর্য়াটার ফাইনালে তাদের শিরোপা মিশনের ইতি টানতে হয় নেদারল্যান্ডসের কাছে







১-২ গোলে পরাজিত হয়ে। ২০১৪ বিশ্বকাপে তারা আরো এক ধাপ অতিক্রম করে এরপর মাথানত করতে বাধ্য হয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে চিলির বিপক্ষে ১-১ গোলে ১২০ মিনিট শেষ করার পর টাইব্রেকারে তাদের ৩-২ গোলে কাবু করে। এরপর মহাদেশীয়\







অপর প্রতিপক্ষ কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নেয় সেমিতে। এরপর শেষ চারের লড়াইয়ে জার্মানদের কাছে ১-৭ গোলে হারের লজ্জা কোনো দিনই মনে করতে চাইবে না। রাশিয়া বিশ্বকাপেও সেই পুরনো কাহিনী। দ্বিতীয় রাউন্ডে
তাদের ২-০ গোলে জয় উত্তর আমেরিকান দেশ এবং কনকাকাফ অঞ্চল থেকে আসা মেক্সিকোর বিপক্ষে। এই জয়োৎসব তাদের চার দিন পরেই থেমে যায় ইউরোপিয়ান দেশ বেলজিয়ামের কাছে কোর্য়াটারে ১-২ গোলে হেরে। কাতার বিশ্বকাপে
ব্রাজিলের দ্বিতীয় পর্ব উতরানো এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। এর ফলে বিশ্বকাপে চার মোকাবেলাতেই এশিয়ান প্রতিপক্ষকে হারালো আটলান্টিকের পশ্চিম পাড়ের দেশটি। এর আগে ২০০২ সালে চীনকে ৪-১
গোলে, ২০০৬ এ জাপানকে ৪-১ গোলে, ২০১০ সালে উত্তর কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারের তেতো স্বাদ দেয়। এবার কোরিয়াকে শেষ ১৬-এর ম্যাচে ৪-১ গোলে হারানোর মাধ্যমে ব্রাজিল টানা ২২ বছর এবং পরপর ৮ বিশ্বকাপের কোর্য়াটার
ফাইনালে উঠল। তাদের সর্বশেষ দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিতে হয়েছিল ১৯৯০ সালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে। আজ তাদের পালা নক আউটে ২০ বছর ধরে ইউরোপিয়ানদের কাছে হারের লাগাম টেনে ধরা।