এলিস্টারের পর আলভারেজের গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতল আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ গোলশূণ্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের দেখা পায় মেসিরা। গোল করেন ম্যাক অ্যালিস্টার। মেক্সিকো ও পোল্যান্ড দুই দলকেই ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে







গ্রুপ চ্যাপিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো মেসিরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পেনাল্টি মিসের পর লিওনেল মেসির অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল সব। মহানায়ক কি এবার খলনায়ক হতে যাচ্ছেন তবে! ঘোষণা দিয়েই যে পেনাল্টি ঠেকালেন ভয়চেক সেজনি।







ম্যাচের আগে লিওনেল মেসির পেনাল্টি ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি। সেই কথা রেখেছেন এই গোলরক্ষক। ৩৯ মিনিটে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠিকই মেসির শট ঠেকালেন এই গোলরক্ষক। শুধু মেসির পেনাল্টিই নয়,







প্রথমার্ধে একের পর আর্জেন্টাইন প্রচেষ্টা একাই ঠেকিয়েছেন পোলিশ গোলরক্ষক। সেই দুঃস্বপ্ন নিয়েই বিরতিতে যান মেসি। পোলিশ দেওয়াল গুঁড়িয়ে দিতে আর্জেন্টিনা সময় নিল এক মিনিটেরও কম। মেসির দায় শোধের প্রথম ভারটা নিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার।







গোলটা আসতেই যেন প্রাণ ফিরে পেল আর্জেন্টাইন গ্যালারি, প্রাণ ফিরে পেলেন দর্শকদের হাতে থাকা ডিয়েগো ম্যারাডোনার পোস্টারও। আর এগিয়ে আর্জেন্টিনা যেন আরও ধারালো। এরপর আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেওয়ার ভারটা নিলেন আলভারেস।







সেই আলভারেস যিনি শৈশব থেকে মেসির সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলবেন বলে স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিলে তিলে বোনা সেই স্বপ্নকে রাঙানোর সুযোগটা হারাবেন কেন! ৬৮ মিনিটেই তার এক চোখ ধাঁধানো গোলে ব্যবধান ২-০ করে আর্জেন্টিনা। তবে হেরেও আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়েছে পোল্যান্ড।







তাই অন্য ম্যাচে সৌদি আরবকে ২-১ গোলে হারিয়েও লাভ হয়নি মেক্সিকোর। ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার সামনে। যদিও কাছাকাছি গিয়ে অল্পের জন্য গোলের দেখা পায়নি তারা। তবে পরের মুহূর্তে আক্রমণ গিয়ে আর্জেন্টিনার ডিফেন্স কাঁপায় পোল্যান্ড।







ক্রিস্তিয়ান বিয়েলিকের শট বাধাগ্রস্ত হয় আর্জেন্টাইন ডিফেন্সে। মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছোট ছোট পাসে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করছিল আর্জেন্টিনা। ৭ম মিনিটে আগের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে করা গোলের মতোই ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মেসি।
তবে আগে পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি সতর্ক থাকায় বিপদে পড়তে হয়নি পোল্যান্ডকে। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট পোলিশ রক্ষণের আশপাশে থেকেই হুমকি তৈরির চেষ্টা করছিল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডরা। তবে আলবিসেলেস্তাদের আক্রমণ পোলিশ রক্ষণ ভাঙার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
১৭ মিনিটে মার্কোস আকুনিয়ার শট যায় বারের ওপর দিয়ে। ২১ মিনিটে ফ্রি কিক পেয়েছিল পোল্যান্ড। তবে তা আর্জেন্টিনাকে বিপদে ফেলার মতো ছিল না। তবে এমন দুই একটা আচমকা সুযোগ তৈরি ছাড়া ম্যাচে প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময়েই বল
ছিল আর্জেন্টিনার দখলে। আর্জেন্টিনার আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে পোল্যান্ডকে বেশ নিচে নেমে এসেই রক্ষণ সামলাতে হচ্ছিল। তবে নিজেদের দুর্গ সামলানোর কাজটা বেশ ভালোভাবেই করছিল তারা। ম্যাচের ২৮ মিনিটে হুলিয়ান আলভারেজকে ঠেকিয়ে দেন সেজনি।
একই আক্রমণে পরের মুহূর্তে আকুনিয়ার জোরালো শট যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ৩৩ মিনিটে আনহেল দি মারিয়ার কর্নার থেকে নেওয়া শট সেজনি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে না দিলে সেটি প্রায় পোস্টের ভেতর ঢুকেই গিয়েছিল। একটু পর দারুণ এক থ্রু বল
নিয়ে পোলিশ রক্ষণে ঢুকে পড়েছিলেন আলভারেজ। তবে এবারও পোল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে গোল ঠেকিয়ে দেন সেজনি।