






ফুটবলে কতশত জাদুকরী মুহূর্তই না উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। দিয়ে চলছেন এখনও। নামের পাশে তার অসংখ্য রেকর্ড, অর্জন, কীর্তি। ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সব শিরোপার স্বাদপেয়েছেন। কিন্তু দেশের হয়ে বিশ্ব সেরার সোনালী ট্রফিটায়







এখনও চুমু আঁকা হয়নি তার। অনেকের মতো নেদারল্যান্ডসের সাবেক ফুটবলার ক্লেরেন্স সিডর্ফও এবার মেসির হাতে দেখতে চানবিশ্বকাপ। সেই অপূর্ণতাকে পূর্ণতায় রূপ দিতে স্রেফ এক ধাপ দূরে মেসি। কাতারে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আগামী







রোববার ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে দুই দলেরলড়াই শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। ২০১৪ সালেও বৈশ্বিক আসরের শিরোপা ঘরে তোলার খুব কাছে ছিলেন মেসি। কিন্তু জার্মানির বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচটিতে শেষ







মুহূর্তে মারিও গোটসেরগোলে ভাঙে সময়ের সেরা এই ফরোয়ার্ডের স্বপ্ন। মেসির বয়স এখন ৩৫। আগামী বিশ্বকাপে যে আর তাকে দেখা যাবে না, ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পরই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তাই বিশ্ব সেরার মঞ্চে তার বিদায়ী ম্যাচ







হতে যাচ্ছে ফ্রান্সের বিপক্ষে কাতার আসরের ফাইনাল। শেষটা জয়ে রাঙাতে স্বাভাবিকভাবেই মুখিয়ে থাকবেন মেসি। আর তাকে অনির্বচনীয় স্বাদ দিতে উন্মুখ থাকবেন তারসতীর্থরাও। নিজের সময়ে সেরা মিডফিল্ডারদের একজন ছিলেন সিডর্ফ।







১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপে খেলেছিলেন তিনি। ডাচদের হয়ে ৮৭ ম্যাচ খেলা এই ফুটবলারের মতে মেসির হাতে বিশ্বকাপদেখতে চান সবাই। “ফুটবল দেবতা যদি থেকে থাকে, মেসিকে বিশ্বকাপ জিততে দেখে ভালো লাগবে।” লম্বা সময় ধরে ফুটবল







আঙিনায় আলো ছড়ানো মেসি বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে না পারলেওকিলিয়ান এমবাপে এরই মধ্যে স্বাদ পেয়েছেন এই সাফল্যের। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ে তার ছিল বড় অবদান। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠার পথেও তিনি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।কাতার বিশ্বকাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ পাঁচটি করে গোল মেসি ও এমবাপের। তবে ফরাসি ফরোয়ার্ডের চেয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকারকেই এগিয়ে রাখলেন ৪৬ বছর বয়সী সিডর্ফ। “যদিও ফরাসি স্ট্রাইকার
(এমবাপে) তার এই বয়সে যা করছেন তা অবিশ্বাস্য। তিনি একজন ফিনিশার। আর মেসি দেখিয়েছেন যে অবিশ্বাস্য খেলার মাধ্যমে কীভাবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে হয় তিনি সেটা জানেন। গোল থেকে যেকোনো দূরত্বে তিনি এমন সিদ্ধান্ত
নিতে পারেন যা খেলাকে বদলে দেয়।” সৌদি আরবের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য হার দিয়ে আসর শুরু করে এখন ফাইনাল খেলছে আর্জেন্টিনা। বিশ্ব সেরার মঞ্চে৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে তারা। আর দারুণ পারফরম্যান্স
উপহার দেওয়া ফ্রান্স টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে মুখিয়ে। সিডর্ফ মনে করছেন, যোগ্য দুই দল ফাইনালেজায়গা করে নিয়েছে। তার মতে, লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপের দলের মধ্যে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দেখা হবে বিশেষ একটি দিন।