নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গালের সাথে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি সম্পর্ক যে ভালো না সেটা মোটামুটি ফুটবল দুনিয়ার খবর রাখেন তাদের সবার জানা। এই দুজনের মধ্যে রেষারেষির শুরুটা বার্সেলোনা থেকে। যখন ফন গাল







বার্সার কোচ হয়ে আসেন তখন থেকেই শুরু মূলত। ক্যাম্প ন্যুতে আসার আগেই মেসিকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করে বিতর্কের জন্ম দেন ফন গাল। সেই থেকে শুরু। এরপর তাদের মধ্যে তিক্ততা বাড়তেই থাকে। যার কারণে শেষ পর্যন্ত প্রাণপ্রিয় বার্সায়







দীর্ঘ সময় কাটানোর পর মেসি বাধ্য হন প্যারিসে পাড়ি জমাতে। সেই থেকে মেসি যেন ঠিক করেই রেখেছিলেন সময় মতো জবাব দেবেন কোচ ফন গালকে। আর সেই সুযোগ যে এবারের বিশ্বকাপ আসরেই পেয়ে যাবেন সেটা ভাবেননি মেসি।







কাতার আসরে শেষ আটে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিলো ডাচরা, যাদের বস হয়ে এসেছেন লুই ফন গাল। কোয়ার্টার ফাইনালে নিজের গোল আর টাইব্রেকারে ডাচদের হারানোর পর নিজের ভেতরে পুষে রাখা রাগ আর ডেকে রাখতে







পারেননি মেসি। তার এমন চেহারা আগে কখনো দেখেনি ভক্তরা। ডাচদের বিরুদ্ধে আলবেসেলেস্তেদের দ্বিতীয় গোলটি করে মেসি সেটি একটু ভিন্নভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। যেমনটা তিনি সচারচর করেন না। ডাচ বেঞ্চের দিকে দৌড়ে







গিয়ে কানের দুপাশে হাত নাড়তে শুরু করেন। অনেকটা আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি হুয়ান রোমান রিকুয়েলমির মতো। তবে মেসি সত্যিকার অর্থেই ডাচ কোচের উদ্দেশ্য এমন ভঙ্গিতে গোল উদযাপন করতে চেয়েছিলেন কিনা তা নিয়েও বিতর্ক
আছে। তবে সেই মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল। এটা ঠিক যে, ডাচরা খেলায় ফেরার পর মেসি খুব ক্ষেপে ছিলেন। তাই মেসির সেই প্রকাশ ছিলো একটু বেশি। শুধু তাই নয়, ডাচদের বিলম্বিত ভেলকিতে খেলা অতিরিক্ত সময়ে
গড়ানোর পর মেসি তো দৌড়ে গিয়ে কোচ ফন গালের সঙ্গে মুখোমুখি বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। তবে তাদের কি কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে ম্যাচ শেষে মেসি আবারো রাগ ঝারেন ডাচদের ওপর। প্রতিপক্ষদের তিনি বোকার হদ্দ হিসাবে
গাল দেন। সেই সাথে রেফারিকে তুলোধুনো করেন মেসি। তিনি জানিয়েছেন, এই রেফারি যেন তাদের কোন ম্যাচ পরিচালনা না করেন।