কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের মধ্যে এবং পরে নেদারল্যান্ডসের ফুটবলারদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)। ইতোমধ্যে লিওনেল মেসিদের







বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে তারা। এতে দোষী প্রমাণিত হলে বড় শাস্তি পেতে পারেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। ফিফা জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। এবিসি নিউজ, স্টাফ ডটকমের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য







পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের মধ্যে একাধিকবার ঝামেলায় জড়ান আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের ফুটবলাররা। এতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন স্প্যানিশ রেফারি অ্যান্তনিও মাতেও লাহোচে। ঘন ঘন দুই দলের







খেলোয়াড়দের হলুদ কার্ড দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলেন তিনি। একপর্যায়ে উভয় দলের রিজার্ভ বেঞ্চের সদস্যরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। খেলা চলাকালীন আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার মার্কস আকুনা একটি ফাউল মানতে না পেরে ডাচ







রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে শট মারেন। এতে দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। খোদ নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফান হালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন মেসি। পেনাল্টি ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনালে তোলার পর ডাচ







কোচকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন আলবিসেলেস্তে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচে রেকর্ড ১৬টি হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। সাধারণত কোনও দল ৫টি হলুদ কার্ড দেখলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ওঠে।
পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে ফিফা। ফলে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে। এতে ঘটনার সত্যতা মিললে দুই দেশের ফুটবল সংস্থাকেই ১৬ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হবে। চলতি বিশ্বকাপে এর আগে দু’বার
সৌদি আরবকে জরিমানা করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্র সংস্থা। ফলে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে আলাদা করে কোনও অভিযোগ আনা হলে জরিমানার অঙ্ক বাড়তে পারে। তবে কবে এ রায় দেবে, তা জানায়নি ফিফা।