এখন পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে যাওয়ার বেশ কয়েকটি নজির আছে বাংলাদেশের। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ- ভারতের বিপক্ষে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা।







তবে চলতি ওয়ানডে সিরিজে তেমনটি হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে টাইগাররা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে এক উইকেটে জয়ের পর আজ জিতল ৫ রানে। আজ বাংলাদেশের দেওয়া ২৭২ রানের







লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৬৬ রান করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায় ভারতের ইনিংসের সূচনা করেন বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় ওভারে কোহলিকে বোল্ড করে দেন এবাদত হোসেন। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করেন কোহলি।







এরপর ধাওয়ানকে মেহেদী হাসান মিরাজের সহজ ক্যাচ বানান ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। ওয়াশিংটন সুন্দর ১১ ও লোকেশ রাহুল ১৪ রানে সাজঘরে ফিরলে ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। এরপর ১০৭ রানের জুটি গড়েন শ্রেয়াস আয়ার ও অক্ষর প্যাটেল।







এরপর ১০২ বলে ৮২ রান করা আয়ারকে আউট করেন মিরাজ। আর ৫৬ বলে ৫৬ রান করা অক্ষরকে ফেরান এবাদত হোসেন। দলীয় ২১৩ রানে দীপক চাহার বিদায় নিলে বাংলাদেশের জয় পাওয়াটা খুব সহজই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সবাইকে অবাক করে







দিয়ে ব্যাট করতে নামে চোটাক্রান্ত রোহিত। ঝোড়ো ফিফটিতে ম্যাচটিকে বাংলাদেশের হাত থেকে বের করেই নিচ্ছিলেন। শেষ দুই বলে ১২ রান দরকার ছিল ভারতের। সে সময় রোহিত মুস্তাফিজকে ছক্কা হাঁকালে শেষ বলে ৬ রানের প্রয়োজন ছিল তাদের।







তবে শেষ বলটি ডট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুস্তাফিজ। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ।







৯৬ বলে ৭৭ রান করে মাহমুদ উল্লাহ ফিরলেও মিরাজ হাঁকান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। মাত্র ৮৩ বলে ৪টি চার ও ৮টি চারের সাহায্যে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।