সোমবার রাতটা ব্রাজিল সমর্থকদের মনে থাকবে দীর্ঘদিন। কাতার বিশ্বকাপে এদিন দক্ষিণ কোরিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ বগলদাবা করার দৌঁড়ে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। ব্রাজিল দলের প্রাণভ্রমরা নেইমার এদিন নৈপূণ্য দেখান। চোট থেকে ফিরে মাঠে নেমেই গোল পেয়েছেন।







গ্রুপপর্বে ক্যামেরুনের কাছে হেরে মনোবলে চিড় ধরেছিল ব্রাজিল ফুটবলারদের। কাল কোরিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে শান দিয়েছে নেইমার-রিচার্লিসনরা। এই ম্যাচে নেইমারের গোলটা ছিল আকাঙিক্ষত। চোটের কারণে আগের দুই ম্যাচে না খেলা এই ফরোয়ার্ডকে স্বরূপে দেখতে তেতে ছিলেন ভক্তরা।







কাল সেই প্রত্যাশার প্রতি সুবিচার করেছেন নেইমার। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম গোল করলেন। আর এই গোলের হাত ধরেই ব্রাজিলের দুই কিংবদন্তি পেলে এবং রোনালদোর রেকর্ড স্পর্শ করলেন দ্য ফেনোমেনন। সেই সঙ্গে পেলের অন্য রেকর্ডও ভাঙার মুখে ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার।







ব্রাজিলের তৃতীয় খেলোয়ার হিসেবে তিনটি আলাদা বিশ্বকাপে গোল করার নজির গড়লেন নেইমার। এত দিন এই নজির ছিল পেলে এবং রোনালদোর। সেই তালিকায় এ বার নাম লেখালেন নেইমার। পেলে অবশ্য ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৬৬, ১৯৭০- এই চার বিশ্বকাপেই গোল করার নজির গড়েছেন।







নেইমার সেখানে আলাদা আলাদা তিন বিশ্বকাপে গোল করলেন। পরের বিশ্বকাপে সব ঠিক থাকলে আর নেইমার খেললে এবং গোল করলে পেলের আলাদা আলাদা চার বিশ্বকাপে গোলের নজিরও ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। রোনালদো ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৬- এই তিন বিশ্বকাপেই গোল করেছেন।







যে নজির ইতিমধ্যে স্পর্শ করে ফেলেছেন নেইমার। চোট সারিয়ে নেইমার সোমবার প্রথম একাদশে ফিরতেই বদলে গেল পুরো টিমের বডিল্যাংগুয়েজ। ৪-১ গোলে কোরিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল তিতের ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে হলেও গোল করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন নেইমার।