ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই টেস্ট দলের নিয়মিত মুখ মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ওয়ানডে ছিলেন একাদশে আসা-যাওয়ার মাজেই। যে কারণে এই ফরম্যাটে জায়গাটা পাকাপোক্ত করতে সময় লেগেছে তার। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখন







মিরাজ নিয়মিত মুখ, গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। যার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই। এ বছর এ নিয়ে দুইবার মিরাজের ব্যাটে খাঁদের কিনারা থেকে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে এই







ব্যাটারের সঙ্গী ছিলেন আফিফ হোসেন। তবে রবিবার মিরপুরে মুস্তাফিজকে সঙ্গে নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। মিরাজের অবিস্মরণীয় ৩৮ রানের ইনিংসেই এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তাই তো সংবাদ সম্মেলনে এসে







মিরাজকে দলের নিরব নায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। কারণ যে কোন পরিস্থিতিতে এই অলরাউন্ডারের ওপর ভরসা করতে পারে পুরো দল। খেলোয়াড় হিসেবে তাকে আমি অনেক গুরুত্ব দেই। এমনকি কোচের







খাতায় প্রথম নামটিও থাকে মিরাজের। ডমিঙ্গো বলেন, ‘মিরাজ দলের নিরব নায়ক। সব ফরম্যাটেই সে ধারাবাহিক। যে কোন স্থানে ব্যাট করতে পারেন, চাপ নিতে জানে। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ২ ও ৩ নম্বরে ছিল। তার ওপর সব সময়েই নির্ভর করা







যায়। যে যদি বোলিংয়ে রান দিয়ে বসে তাহলেও সে ঘুরে দাঁড়াতে জানে। এমন পরিস্থিতির জন্যই সে তৈরি।’ ‘প্রথম ম্যাচের ইনিংসটাকে আমি স্পেশাল বলবন। এমনটা সে প্রথম করেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও সে
কি করেছে সবাই দেখেছে। ওর ওপর আমরা মুগ্ধ। আমি অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যভাবি দলের। আমি জানিনা মিডিয়া বা জনগন কিভাবে। কোচ হিসেবে সে আমার খাতায় সব সময়েই একে থাকে।’ রবিবার শের-ই-বাংলা জাতীয়
ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ। ভারত টস হেরে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে। রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশ ১ উইকেট ও ২৪ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ম্যাচসেরা হন মেহেদি হাসান মিরাজ। খেলেন ৩৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।