তাকে নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা। চরম বিব্রতকর অবস্থা তাড়া করে বেড়াচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর, বুধবার শেরে বাংলায় ভারতের বিপক্ষে প্রথম বলে আউট হলেই লজ্জার রেকর্ড গড়বেন তিনি! পরপর তিন ওয়ানডেতে







‘গোল্ডেন ডাকে’র হ্যাটট্রিক হবে এ বাঁ-হাতি টপ অর্ডারের। তার ওয়ানডে পরিসংখ্যানও খুব জীর্ণ-শীর্ণ (১৪ ম্যাচ মোট রান মাত্র ১৮৯। একটি হাফ সেঞ্চুরিও নেই, গড় মোটে ১৩.৫০)। শুধু যে কম রানে আউট হয়েছেন বা হচ্ছেন তা নয়।







দুর্বল পরিসংখ্যানের পাশাপাশি শান্তর অ্যাপ্রোচ-অ্যাপ্লিকেশনও যে দৃষ্টিকটু! উইকেটে গিয়েও থাকেন রীতিমত আড়ষ্ট। এমন হতচ্ছিরি পরিসংখ্যান আর খারাপ অবস্থা যার, তিনি কিভাবে একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন নিয়মিত? তাকে সব ফরম্যাটেই সুযোগ দেয়া হচ্ছে কেন?







বাংলাদেশ সমর্থকদের বড় অংশ শান্তকে নিয়মিত খেলানো কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না? তাদের একটাই প্রশ্ন, শান্তর মধ্যে কি এমন আছে যে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে বারবার সুযোগ দিচ্ছেন? শুধু ভক্ত ও সমর্থকদের কথা বলা কেন,







সাংবাদিকরাও শান্তর অনুজ্জ্বল রুপ দেখে হতাশ এবং বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও শান্তকে কেন খেলানো হচ্ছে, সে প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার মিরপুরে প্রেস কনফারেন্সেও উঠলো প্রশ্ন, ‘১৪ ম্যাচে একবারের জন্য ভাল খেলতে না পারা সাড়ে ১৩ গজের শন্তকে বারবার সুযোগ দেয়ার পেছনের কাহিনী কী?







অথচ ইয়াসির আলী রাব্বি তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না কেন? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে টাইগার হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো শান্তকে খেলানোর পক্ষেই যুক্তি মেলে ধরেন। কেন শান্তকে খেলানো হচ্ছে? তার কারণ ব্যাখ্যা করে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আসলে আমি ওপেনিংয়ে ডান ও বাঁ-হাতির মিশেল পছন্দ করি।







আর শান্ত দিনকে দিন সাদা বলে নিজেকে মেলে ধরছে।’ শান্তর ক্যারিয়ারের শুরু মোটেই ভাল না। সেটা দেখে মোটেও চিন্তিত নন ডোমিঙ্গো। বরং দক্ষিণ আফ্রিকান জীবন্ত কিংবদন্তি’ জ্যাক ক্যালিসের ক্যারিয়ারের শুরুর সময়ের সঙ্গে শান্তর এখনকার অবস্থার মিল খুঁজে পাচ্ছেন টাইগার কোচ।







তাই মুখে এমন কথা, ‘১২ ম্যাচ (আসলে ১৪ ম্যাচ) ম্যাচ দেখেই কাউকে নিয়ে চরম মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কারন, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শান্তর দুটি ফিফটি আছে। আর গড় কম, তা নিয়েও এখনই শেষ কথা বলার আসেনি।’ ‘কারণ, জ্যাক ক্যালিসের মত বিশ্বমানের পারফরমারেরও প্রথম ১২ টেস্টের গড় ছিল ১২।







যিনি পরবর্তীতে বিশ্বের সব সময়ের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পারফরমার বনে গেছেন।’ ডোমিঙ্গো যোগ করেন, ‘মানছি শান্তর আরও ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে হবে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, সে ‘ট্রিকি’ (কঠিন, জটিল ও খারাপ উইকেট) পিচে খেলেছে।’







শান্তর ব্যাপারে ডোমিঙ্গোর শেষ কথা হলো, ‘শাস্তসহ আরও কয়েকজন ক্রিকেটারের ব্যাপারে আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে। সে মোটেই বেশি ম্যাচ খেলেনি। আর বেশির ভাগই খেলেছে- হাই কোয়ালিটি টিমের বিপক্ষে, টাফ কন্ডিশনে।’