






একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতার জন্য কী না করেছেন লিওনেল মেসি! সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়েও ক্যারিয়ার সেরা সময়ে একটিবারের জন্যেও ছুঁয়ে দেখতে পারেননি বিশ্বকাপ। পারেননি কোপা আমেরিকাতেও।ক্যারিয়ারে ক্রান্তিলগ্নে







এসে লোকেমুখে যখন শুনছিলেন যে ট্র্যাজিক হিরো হিসেবেই বুটজোড়া তুলে রাখতে হবে, ঠিক তখন থেকেই যেন সব হিসেব-নিকেশ বদলে যেতে লাগল। কোপা আমেরিকা, ফাইনালিসিমা ও শেষমেষ বিশ্বকাপ জিতে মেসি ছুঁয়ে দেখলেন







অমরত্ব। জীবনে কোনো অপূর্ণতা থাকল না আর।মেসিকে তার জীবনের সেরা মুহূর্ত উপহার দিতে পেরে খুশি আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার এই সব শিরোপা জয়ের পেছনে অন্যতম নায়ক যে তিনিও।







মেসির অপূর্নতা ঘুচানোটাই ছিল তার স্বপ্ন।নিজের জন্মভূমিতে মার দেল প্লাতায় ফেরার পর মেসিকে নিয়ে মার্তিনেস বলেন, ‘সে এই গ্রহের সেরা খেলোয়াড়। আমার স্বপ্ন ছিল তাকে একটি শিরোপা এনে দেওয়া যাতে করে, সে যে







ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ না থাকে। ’ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৩(৪)-৩(২) গোলে হারায় আর্জেন্টিনা। যার অন্যতম কৃতিত্ব গোল্ডেন গ্লাভ জেতা মার্তিনেসের। গোলবারের নিচে ফ্রান্সের কিংসলে কোমানের







শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। পরবর্তী শট নিতে আসা অরেলিয়ে চুয়ামেনির খেলেন ‘মেন্টল গেম’। যে কারণে ফ্রান্স মিডফিল্ডারের শট ঠেকানোরও প্রয়োজন পড়েনি। কেননা তা পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়।মার্তিনেস বলেন, ‘পেনাল্টির
সময় আমি শক্ত ছিলাম এবং জানি যে প্রতিপক্ষরা আমাকে শ্রদ্ধা করে। কোমানের শট ঠেকিয়ে দেওয়ার পর জানতাম পরবর্তী শট নিতে আসা ফুটবলার স্নায়ুচাপে ভুগবে এবং তাই বল দূরে ছুঁড়ে তার সঙ্গে কথা বলে মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলতে লাগলাম। সে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে ফেলল (হাসি)। ’