তীরে এসে তরী ডোবার গল্পটাও তো আর নতুন নয় বাংলাদেশের। অ্যাডিলেড ওভালে বৃষ্টির আগে রীতিমতো রূপকথার জন্ম দিচ্ছিল লিটন দাসের যাদুকরী ব্যাটিং। বৃষ্টি শেষে কনকনে হিমেল হাওয়ায় নতুন লক্ষ্যে লড়াইটাও সহজ ছিল না। ৫৪ বলে







৮৫। হাতে দশ উইকেট। তেমন একটা মঞ্চ পেয়েও হয়নি। খেলাটা শেষ ওভার অব্দি উত্তেজনার তুঙ্গে থাকল। জয়ের স্বপ্ন বেঁচে থাকল শেষ বলটি পর্যন্ত। কিন্তু মিলল না সমীকরণ! ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের তীরে এসে তরী ডোবানোর







উদাহরণ রয়েছে বেশ কয়েকটি। বুধবার (২ নভেম্বর) সে ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটলো আরও একবার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের সাথে টাইগাররা লড়েছে শেষ বল পর্যন্ত। কিন্তু তাতেও কাঙ্ক্ষিত জয় আসেনি। ম্যাচে বাংলাদেশ







হেরেছে ৫ রানে। এমন হারের পর আবেগটা আর ধরে রাখতে পারেননি টাইগারদের পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। অ্যাডিলেড ওভালে বল হাতে দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়ার পর ব্যাট হাতেও খেলেছেন বেশ। তবে ৭ বলে ১২ রানের অপরাজিত







ইনিংসটা যে ম্যাচ জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না! তাই ম্যাচ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন গত ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জেতা তাসকিন। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার-প্লেতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারত। তৃতীয়
ওভারে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। ৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৭ রান। গত তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তাসকিন দুর্দান্ত শুরু করেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে তিনি ৩ ওভার
করেন। প্রথম দুই ওভারে তিনি দেন মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারে তার বলে জীবন পান রোহিত শর্মা। না হলে আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও বাংলাদেশকে শুরুর সফলতাটা তাসকিনই এনে দিতেন। প্রথম দুই ওভারে তাসকিন মাত্র ২ রান
দিলেও তৃতীয় ওভারে খানিকটা খরুচে বোলিং করেছেন। বিরাট কোহলি তাসকিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে চার হাকান। পরের চার বল অবশ্য কোনো রান নিতে পারেননি কোহলি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে দলের সবচেয়ে কম খরুচে বোলারও ছিলেন তাসকিন। কোনো উইকেট না পেলেও নিজের কোটা শেষ করতে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন তিনি।