






মুহুর্মুহ আক্রমণের পর বেলিংহামের হেডে ইংল্যান্ডের গোল। শেষ কয়েক মিনিট মুহুর্মহু আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি তারা। অবশেষে এটি এলো ৩৫ মিনিটে







বেলিংহামের হেড থেকে। বাঁ দিক থেকে শর ক্রস থেকে ডি বক্সে থাকা বেলিংহাম লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে ইরানের জাল স্পর্শ করেন। ইংলিশ জার্সিতে বেলিংহামের এটি প্রথম গোল। গোল বাঁচাতে







গিয়ে ঝরেছে রক্ত, মাঠ ছাড়লেন ইরানি গোলরক্ষক গোল বাঁচাতে গিয়ে ঝরেছে রক্ত, মাঠ ছাড়লেন ইরানি গোলরক্ষক। ম্যাচের নবম মিনিটে কেনের দারুণ ক্রসে আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। সেটি বাঁচাতে







গিয়ে আহত হন ইরানি গোলরক্ষক বেইরানভান্দ। নাক থেকে ঝরে রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ফিজিও-চিকিৎসকদের সেবা শুশ্রূষার পর আবার গ্লাভস হাতে দাঁড়ান। কিন্তু মিনিট







খানেকের বেশি থাকতে পারেননি। আবার লুটিয়ে পড়েন। ১৮ মিনিটের সময় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামেন হোসেইনি। ইংলিশ পরীক্ষার মুখোমুখি ইরান কাতার







বিশ্বকাপে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) ‘বি’ গ্রুপের ময়দানি লড়াই শুরু হয়েছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে শক্তিশালী ইংল্যান্ড ও ইরান। দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ







সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ইংল্যান্ড: পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), ট্রিপিয়ার, স্টোনস, মাগুয়াইর, শ। বেলিংহাম, রিচ, সাকা, মাউন্ট, স্টার্লিং ও কেন। ইরান: বেইরানভান্দ (গোলরক্ষক) মোহাররামি,







পৌরালিগানজি, চেশমি, মাজিদ হোসেইনি, মোহাম্মাদি, নুরুল্লাহি, কারিমি, হজসাফি, জাহানবাকশ ও তারেমি। খরা কাটবে ইংলিশদের? বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগ থেকেই ইংল্যান্ড ফুটবল দল নিয়ে







বেশ আলোচনা চলে। প্রতি বিশ্বকাপেই তাদের ফেভারিটদের তালিকায় রাখা হয়। কিন্তু ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর গেল ৫৬ বছরে কখনোই সেমিফাইনালের গণ্ডি পেরুতে পারেনি তারা।
সর্বোচ্চ সাফল্য চতুর্থ স্থান। এই যেমন ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের মিশন নিয়ে রাশিয়া গিয়েও তারা চতুর্থ হয়ে ফিরেছিল। গ্যারেথ সাউথ গেটের এবারের দলটি অবশ্য রাশিয়ার চেয়ে অভিজ্ঞ। হ্যারি কেন,
ফিল ফোডেন, বুকায়ো সাকাদের গোল মেশিন বললেও ভুল হবে না। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তারা ৩৯টি গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে। হজম করেছে মাত্র ৩টি। কেমন করবে ইরান? ইরান সমীহ আদায়
করে নেওয়ার মতো দল। কারণ, এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো তারা বিশ্বকাপ খেলছে। তার ওপর টানা তৃতীয়। সবশেষ বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছিল অনেকের। মরোক্কোকে হারিয়ে,
পর্তুগালকে রুখে দিয়ে অল্পের জন্য গ্রুপপর্বের অভেদ্য দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। এবার ইংল্যান্ডকে কোনোভাবে রুখে দিতে পারলে ওয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করে গ্রুপপর্ব
পেরিয়ে যাওয়ার ছক কষতেই পারে পার্সিয়ানরা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচের আটটিতেই জিতেছিল কার্লোস কুইরোজের শিষ্যরা। গোল হজম করেছিল মাত্র ৪টি। ফিফা র্যাংকিং তাদের অবস্থান ২০ এ,
অর্থাৎ এবারের বিশ্বকাপে খেলা সার্বিয়া, মরোক্কো ও পোল্যান্ডের চেয়েও উপরে। সে কারণেই ইরানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য পরীক্ষার হয়ে উঠতে পারে। পরিসংখ্যানের পাতা
থেকে ইংল্যান্ডের শক্তিমত্তার দিক গোল স্কোরিং। তারা মুড়ি-মুড়কির মতো গোল করতে পারে। তবে রক্ষণভাগে কিছুটা সমস্যা রয়েছে থ্রি লায়ন্সের। অন্যদিকে ইরানের রক্ষণভাগ তাদের শক্তিমত্তার
দিক। গোল স্কোরিংয়ে রয়েছে তাদের দুর্বলতা। রাশিয়া বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে মাত্র দুই গোল করেছিল তারা। আর ব্রাজিল বিশ্বকাপে করেছিল মাত্র ১ গোল! যে ২০টি দল ২০১৪ বিশ্বকাপের পর ২০১৮ বিশ্বকাপেও
খেলেছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম শট খেলেছিল ইরান, মাত্র ৪৭টি। অন টার্গেটে তাদের শট ছিল মাত্র ১০টি! দুই গ্রুপপর্বে গোল করেছিল সবচেয়ে কম, মাত্র ৩টি। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক
হ্যারি কেন রাশিয়া বিশ্বকাপে একাই করেছিল ৬ গোল! সেমিফাইনাল পর্যন্ত তার দল করেছিল ১২ গোল। এছাড়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে হ্যারি কেন ১২ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন।
এই গোল মেশিনকে ঠেকানোটাই ইরানের জন্য আজ কঠিন পরীক্ষা।