






ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে তার সুযোগ পাওয়ার কথাই ছিল না। ফর্মের তুঙ্গে থাকা জনি বেয়ারস্টো শেষ মুহূর্তে ইনজুরিতে পড়ায় কপাল খুলে যায় অ্যালেক্স হেলসের। বিশ্বকাপ দলে ডাক







পড়ে তার। কল্পনাতীতভাবে পাওয়া সুযোগ কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন হেলস। আজ বৃহস্পতিবার ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। যাতে হেলস করেন







৪৭ বলে ৮৬* আর অধিনায়ক বাটলার করেন ৪৯ বলে ৮০* রান। সঠিক সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠায় একসময় জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া হেলস এখন ইংলিশদের নয়নের মণি। খুনে ইনিংসে ৭টি







ছক্কার সাথে ৪টি বাউন্ডারিও মেরেছেন হেলস। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তার বন্দনায় এখন মুখর ইংলিশ মিডিয়া। আজ হেলস আর বাটলারের গড়া ১৭০ রানের জুটি ওপেনিং তো বটেই, বিশ্বকাপের







ইতিহাসে যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। অথচ এই হেলস পানশালায় মারামারি থেকে শুরু করে দলের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন একাধিকবার! বাংলাদেশের সাব্বির রহমানের







সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া যায়, তাই না? সাব্বিরও তো মাঠ ও মাঠের বাইরে নানা কাণ্ডে জড়িয়েছেন। দর্শক পিটিয়েছেন। ঘরোয়া লিগে কোনো পারফর্ম না করেই হুট করে সুযোগ পেয়ে যান বিশ্বকাপ







দলে! কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাব্বির। শেষ মুহূর্তে তাকে হটিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন সৌম্য সরকার। প্রায় এক বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার বিশ্বকাপে







কিছু ঝলক দেখিয়েছেন বটে। কিন্তু নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা প্রমাণ করতে পারেননি। সাব্বিরের মতো সৌম্য সরকারও ঘরোয়া লিগে নজরকাড়া কোনো পারফর্ম না করেই বিশ্বকাপ দলে সুযোগ







পেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যালেক্স হেলস ছিলেন ব্যতিক্রম। ইংলিশ কাউন্টি, বিগ ব্যাশ, পিএসএলসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে গত পাকিস্তান সফর দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন।
সেই সফরে ভালো না করলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গর্জে ওঠে তার ব্যাট। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে ৫১ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিসংটাই তাকে সুযোগ করে দেয় আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার। বারবার
শৃঙ্খলভঙ্গ করা হেলস নিজেও কখনো ভাবেননি, আরো একটি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন। আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেটা তিনি স্বীকারও করে নেন, ‘কখনোই ভাবিনি আমি আবার বিশ্বকাপে
খেলব। তাই এটি খুবই স্পেশাল। এমন একটি দেশে ইনিংসটি খেললাম, যেখানে আমি খেলতে পছন্দ করি। আজ আমার ক্যারিয়ারের সেরা রাতগুলোর একটি। ’ হেলস প্রমাণ করলেন, খাদে পড়ে
গেলেও সেখান থেকে ফিরে আসা যায়। সবাই তা পারে না, হেলস পেরেছেন।