






সুযোগ বারবার আসে না! আর যে সুযোগ আসে সেটি সদ্ব্যবহার করতে কতজনই বা পারে। যেমন ধরুন এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, কিম্বা ইয়াসির আলীকে। একজন







তো বিশ্বকাপে সুযোগে পান নিয়ে আর বাকি কয়জন সুযোগ পেয়েও উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের দলের ওপেনার আলেক্স হেলসকে দেখুন। সুযোগের সদ্ব্যবহার কিভাবে করতে হয় এটা







খুবই ভালো করে জানেন আলেক্স হেলস। আর তাই তো বিশ্বকাপে স্বপ্নের মত সুযোগ পেয়ে সেটাকে সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি। যেটা পারেননি বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটার। ফর্মের তুঙ্গে থাকা জনি







বেয়ারস্টো শেষ মুহূর্তে ইনজুরিতে পড়ায় কপাল খুলে যায় অ্যালেক্স হেলসের। বিশ্বকাপ দলে ডাক পড়ে তার। কল্পনাতীতভাবে পাওয়া সুযোগ কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন হেলস।







গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। যাতে হেলস করেন ৪৭ বলে ৮৬* আর অধিনায়ক বাটলার করেন ৪৯ বলে ৮০* রান। বাংলাদেশের সাব্বির







রহমানের সঙ্গে কিছুটা মিল পাওয়া যায় হেলসের সাথে। সাব্বিরও তো মাঠ ও মাঠের বাইরে নানা কাণ্ডে জড়িয়েছেন। দর্শক পিটিয়েছেন। ঘরোয়া লিগে কোনো পারফর্ম না করেই হুট করে সুযোগ পেয়ে







যান বিশ্বকাপ দলে! কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সাব্বির। শেষ মুহূর্তে তাকে হটিয়ে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেন সৌম্য সরকার। প্রায় এক বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার







বিশ্বকাপে কিছু ঝলক দেখিয়েছেন বটে। কিন্তু নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা প্রমাণ করতে পারেননি। সাব্বিরের মতো সৌম্য সরকারও ঘরোয়া লিগে নজরকাড়া কোনো পারফর্ম না করেই বিশ্বকাপ







দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু অ্যালেক্স হেলস ছিলেন ব্যতিক্রম। ইংলিশ কাউন্টি, বিগ ব্যাশ, পিএসএলসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করে গত পাকিস্তান সফর দিয়ে জাতীয় দলে
ফেরেন। বারবার শৃঙ্খলভঙ্গ করা হেলস নিজেও কখনো ভাবেননি, আরো একটি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন। আজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেটা তিনি স্বীকারও করে নেন, “কখনোই ভাবিনি
আমি আবার বিশ্বকাপে খেলব। তাই এটি খুবই স্পেশাল। এমন একটি দেশে ইনিংসটি খেললাম, যেখানে আমি খেলতে পছন্দ করি। আজ আমার ক্যারিয়ারের সেরা রাতগুলোর একটি।