






বিদেশে লম্বা সফরের শেষদিকে ঘর খুব বেশি টানে ক্রিকেটারদের। শিকড়ে ফেরার তাড়া অনুভব করেন ভেতর থেকে। বাংলাদেশিরাই শুধু এই টান অনুভব করেন না, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো চূড়ান্ত







পেশাদার দলের ক্রিকেটাররাও ‘হোম সিকনেস’-এ ভোগেন। তবে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের রীতিনীতিতে কিছুটা ভিন্নতা থাকায় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার টান অন্যদের







থেকে একটু বেশি। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে বিদেশ সফর করলে যে কারও চোখে সেটি ধরা পড়ে। মজার ব্যাপার হলো সেই একই ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার ঘরে ফেরার তাড়া কম। যে কারণে বিশ্বকাপ







ম্যাচে এখন পর্যন্ত ফোকাস হারাননি সাকিব আল হাসানরা। এমনকি সবার মধ্যে কেনাকাটার ধুম পড়লেও ব্যাগ গোছাননি কেউই। ক্রিকেটারদের মানসিকতায় এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা







রেখেছেন টেকনিক্যাল পরামর্শক কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। হেড অব ডেলিগেট জালাল ইউনুস জানান, ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ক্রিকেটারদের ব্যাগ গোছাতে নিষেধ করেছেন কোচ। শ্রীরামের কোচিং দর্শনের







একটি বড় অংশ জুড়ে আছে ‘যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ’ নীতি। বুধবার ভারতের কাছে হারলেও সেমির স্বপ্ন ছাড়ছেন না তিনি। রোববার পাকিস্তানকে হারিয়ে অন্য ম্যাচের সমীকরণের জন্য অপেক্ষা







করবে বাংলাদেশ। গতকাল অ্যাডিলেডে জাতীয় দলের অনুশীলনের সময় ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার কেউ ব্যাগ গোছাতে পারছে না। কোচ সবাইকে বলে দিয়েছেন,







৭ তারিখের পরেও থাকতে হতে পারে। সেভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’ বাংলাদেশের গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ পেন্ডুলামের মতো দোল খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কাগজেকলমে







ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের জন্য সেমির দরজা খোলা আছে এখনও। টিম মিটিংয়ে সেই সমীকরণগুলো ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়েও দিয়েছেন কোচ।







ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা করছেন, যাতে রোববার গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচের পরাজিত দলের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাবে। বিজয়ী দলকে







তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-জিম্বাবুয়ে ম্যাচের দিকে। তবে অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ। রোববার সকালে এই ম্যাচটিও
হবে অ্যাডিলেড ওভালে। বাংলাদেশ দুপুরে আর ভারত সন্ধ্যায় খেলবে। এ গ্রুপের এই তিনটি ম্যাচ দিয়েই সুপার টোয়েলভের খেলা শেষ। ওই দিনই চূড়ান্ত হবে সেমিফাইনালে কে কার বিপক্ষে খেলবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডসকে হারালে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সরাসরি সেরা চারে জায়গা করে নেবে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের জয়ী দলকে অপেক্ষা করতে হবে ভারতের হারের জন্য। চার ম্যাচ থেকে
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অর্জন সমান ৪ পয়েন্ট। জয়ী দলের পয়েন্ট বেড়ে হবে ৬। সেখানে ভারত চার ম্যাচ খেলে তুলেছে ৬ পয়েন্ট। মেলবোর্নে জিম্বাবুয়ের কাছে তারা অঘটনের শিকার হলে
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের যে কেউ সেমিতে খেলতে পারে। তবে মেলবোর্নের ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল খেলবে ভারত।