






ভারতের বিদায় আগেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ক্রীড়া সমালোচকরা বলছেন, ক্রিকেট রাজনীতির প্রভাবে নিশ্চিত সেই হারের কবল থেকে বেঁচে যায় রোহিত শর্মার







নেতৃত্বাধীন দলটি। গত ২ নভেম্বর বুধবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নিশ্চিত জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ১৮৫ রান তাড়ায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে লিটন দাসের







ব্যাটিং তাণ্ডবে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলেছিল টাইগাররা। বৃষ্টির আগে মাত্র ২৬ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে সেই







সময়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। ১৭ রানে এগিয়ে ছিল সাকিবরা। বৃষ্টির কারণে মাঠ ছিল ভেজা। ভেজা মাঠে আর খেলা না হলে জিতত বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে হারলেই সেমিফাইনালের







আগে বিদায় নিশ্চিত হতো ভারতের। যে কারণে ভেজা মাঠে বাংলাদেশ দলকে খেলতে বাধ্য করা হয়। ভেজা মাঠে খেলতে গিয়ে দুইবার পা পিছলে মাঠে পড়ে যান লিটন। ভেজা মাঠে দ্রুত দৌড়াতে না







পারায় শেষপর্যন্ত রান আউট হয়ে যান তিনি। ২৭ বলে ৬০ রান করে লিটন আউট হলে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সেই ম্যাচে ফেক ফিল্ডিং করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক







বিরাট কোহলি। তার হাতে বল না থাকা সত্ত্বেও ব্যাটসম্যানকে রানআউট করার জন্য বল ছুড়ে মারার ভঙ্গিমা করেন। এমন ফেক ফিল্ডিংয়ের কারণে আইসিসির নিয়মানুসারে প্রতিপক্ষ দলকে ৫ রান







পেনাল্টি দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু আম্পায়াররা সেদিন দেখেও না দেখার ভান করে ছিলেন। যে কারণে ৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে অবৈধ সুবিধা নিয়ে পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে
হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় ভারত। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে ভারত। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে
২৪ বল আগেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ডের দুই তারকা ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিশ্চিত হয় ভারতের।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে কয়েকটি কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্রেফ উড়ে যায় ভারত। ১. সাহসী ব্যাটিংয়ের কথা বলে যাওয়া ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা সেমিফাইনালের মতো
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পারেননি হাত খুলে ব্যাট করতে। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ২৮ বলে করেন মাত্র ২৭ রান। তার সহ-অধিনায়ক লোকেশ রাহুলেরও একই অবস্থা। তিনি ফেরেন ৫ বলে ৫ রান করে।
২. পাওয়ার প্লের ওভারে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে পারেনি ভারত। প্রথম ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৮ রান করতে পারেন রোহিত শর্মারা। অথচ ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লের ওভারে কোনো উইকেট
না হারিয়ে করে ৬৩ রান। ৩. ভুবনেশ্বর কুমার নিজের সেরা বোলিং করতে পারেননি। দুই ওভার বোলিং করে ২৫ রান খরচ করায় তাকে আর বোলিংয়ে আনা হয়নি। ৪. স্পিনার অক্ষর প্যাটেলও
জঘন্য বোলিং করেছেন। চার ওভারে ৩০ রান দিলেও প্রথম দুই ওভারেই দিয়েছেন ১৯ রান। এসব কারণেই ফাইনালে দর্শক হয়ে যায় ভারত।