গত ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী ম্যাচটি গড়িয়েছিল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। এরপর থেকে প্রতিদিন চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যথাক্রমে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা, সন্ধ্যা ৭টা, রাত ১০টা এবং রাত ১টায়।







একই সময়ে একই গ্রুপের কিংবা ভিন্ন গ্রুপের দুইটি ম্যাচ একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু প্রতিটি গ্রুপের শেষ ম্যাচগুলো শুরু হবে একই সময়ে। ইতোমধ্যে এ ও বি গ্রুপের খেলা শেষ হয়েছে। গতরাতে একই সময়ে দুইটি করে খেলা







মাঠে গড়ায়। রাত ৯টায় এ গ্রুপের দুই দেশ মুখোমুখি হয়। এরপর রাত ১টায় বি গ্রুপের দুই দেশ মুখোমুখি হয়। আজও বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। রাত ৯টায় মাঠে গড়াবে ডি গ্রুপের দুটি ম্যাচ। আর রাত ১টায় মাঠে গড়াবে সি







গ্রুপের দুটি ম্যাচ। কিন্তু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে চারটি ম্যাচ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হলেও শেষ ম্যাচটি কেনো একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় সেটা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। কিন্তু এমনটি হওয়ার কারণ কী? কেন গ্রুপের শেষ







ম্যাচগুলো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয় না? এর উত্তর খুঁজতে ফিরে যেতে হবে ১৯৮২ বিশ্বকাপে। স্পেনে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই আসরে পশ্চিম জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া একসঙ্গে ঘটানো ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর ফিফা এই নিয়ম তৈরি করে।







যে ঘটনাকে নাম দেয়া হয়েছি ‘গিজনের কলঙ্ক।’ কী ছিল সেই ঘটনা? প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেই বিশ্বকাপে কোনো ইউরোপিয়ান দলকে হারায় আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে এই কৃর্তিত্ব দেখায় তারা।







এরপর অস্ট্রিয়ার কাছে ২-০ গোলে হারলেও চিলির বিপেক্ষ ৩-২ গোলে জয় তুলে নেয় আলজেরিয়া। ফলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পশ্চিম জার্মানি এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যেকার ম্যাচের সমীকরণ এমন দাঁড়ায় এমন যে, যদি পশ্চিম জার্মানি ৪
গোলের ব্যবধানে জয় পায় তবে অস্ট্রিয়া বাদ পড়বে, আলজেরিয়া এবং পশ্চিম জার্মানি পরবর্তী রাউন্ডে চলে যাবে। কিন্তু পশ্চিম জার্মানি যদি ১ বা ২ গোলের ব্যবধানে জয় পায় তাহলে অস্ট্রিয়াকে নিয়ে পরের রাউন্ডে উঠবে পশ্চিম জার্মানি।
স্পেনের গিজনে হওয়া সেই ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটে পশ্চিম জার্মানি ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরপরের পুরো সময় দুই দল নিজেদের মধ্যে পাস খেলে সময় শেষ করে। কোনো দলই গোল করার চেষ্টাও করেনি। ফলে আলজেরিয়া বাদ পড়ে,
পশ্চিম জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া পরের রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়। পরিকল্পনা করে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর পরেও ফিফা থেকে এই দুই দলকে কোনো শাস্তি প্রদান করা হয়নি। ঘটনাটি পরিচিত পায় ‘গিজনের কলঙ্ক’ নামে। তবে এরপরের
বিশ্বকাপ থেকেই একই সময়ে একটি গ্রুপের সব দলের শেষ ম্যাচ শুরু করার নিয়ম চালু করে ফিফা।