






লিজেন্ডদের সম্মান দিতে জানে না বার্সালোনা। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে তাদের ঘাড় ধাক্কা দিতেও দুইবার ভাবে না বার্সালোনা এমন অভিযোগ অনেকের। বার্সালোনার অনেক সাবেক প্লেয়ার অভিযোগের







আঙ্গুল তুলেছেন বার্সালোনার দিকে। আর বার্সার এই নীতির সর্বশেষ শিকার হতে যাচ্ছেন স্প্যানিশ ফুটবলার জেরার্ড পিকে। বিশ্বকাপের আগে বার্সালোনা আর দুটি ম্যাচ খেলবে। এই দুটি ম্যাচের মধ্যে







বার্সালোনা আগামীকাল আলমেরিয়ার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে খেলতে নামবে। এই ম্যাচটিই ক্যারিয়ারের শেষ হোম ম্যাচ হতে যাচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন পিকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে







জেরার্ড পিকে দিয়েছেন এই অবসরের ঘোষণা। জানিয়েছেন, বার্সালোনা ছাড়া অন্য কোন ক্লাবে খেলার চিন্তাও করেন না তিনি। কিন্তু মৌসুমের মাঝপথে, চুক্তি থাকার পরও কেন বার্সালোনা







ছাড়ছেন তিনি? স্প্যানিশ গনমাধ্যমগুলো কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে তার অবসরের পেছনে। এগুলো হল:- ১. বর্তমানে বার্সালোনাতে একরকম ব্রাত্য জেরার্ড পিকে। সে এখন পঞ্চম পছন্দের







ডিফেন্ডার। আরাওহো, গার্সিয়া, ক্রিষ্টেনসেন, কুন্দের পর তাকে বিবেচনা করেন জাভি। শুধু মাত্র সতীর্থ প্লেয়ারদের ইনজুরি ছাড়া আর খেলার সুযোগ হয় না। জাভিও তাকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে,







সে তাকে বিবেচনা করছে না। পিকে চেষ্টা করেছিল জাভির মন পরিবর্তন করার, কিন্তু লাভ হয়নি। বার্সাতে ব্রাত্য থাকাটা একটা কারণ তার অবসরের জন্য। ২. বার্সালোনা বোর্ডের সঙ্গেও পিকের







সম্পর্ক ভালো নেই। বার্সালোনা তো চাচ্ছিল পিকেকে জোর করেই ক্লাব ছাড়া করতে। তার বেতন অনেক বেশি। বার্সার সঙ্গে পিকের চুক্তি আছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। কিন্তু যদি এই মৌসুমে ৩০







শতাংশের কম ম্যাচ খেলে তাহলে আগামী মৌসুমেই চুক্তি বাতিল করতে পারবে না বার্সা। বার্সালোনার কর্মকর্তারাও সেটাই চাচ্ছে। আর এটা নিশ্চিত ভাবেই আরও অসম্মানের কারণ হবে
পিকের। এছাড়াও পিকের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলা হয়েছে। শাকিরার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর যে সব সমালোচনার মুখে তিনি পরেছেন সেগুলোও মানসিক ভাবে তাকে বিপর্যস্ত করে
তুলেছে। তাই অবসরের সিদ্ধান্তই নিয়েছেন পিকে।