






‘২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, শ্রীলঙ্কায় নিদ্রাহাস ট্রফির ফাইনাল, আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। তিনটি ম্যাচেই একই পরিণতি। জিততে জিততে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ







অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানালেন, ভারতের বিপক্ষে খেললেই আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের। অ্যাডিলেডে বৃষ্টির আগে ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের জবাবে ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে নেয়







বাংলাদেশ। লিটনের ২৭ বলে ৬০ রানের ঝড়ে রোহিত, বিরাটদের যায় যায় অবস্থা। সেখানে আরও ৫ রান যোগ হতো বাংলাদেশের। শান্ত ও লিটনের ডাবলস রান নেওয়ার সময় ফেক ফিল্ডিং করেছিলেন বিরাট।







মাঠেই আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শান্ত। কিন্তু দুই আম্পায়ার ক্রিস ব্রাউন ও মারাইস ইরাসমাস তাদের অভিযোগ আমলে নেননি। বৃষ্টির সময় যখন খেলা বন্ধ ছিল বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট







শ্রীধরন শ্রীরাম আম্পায়ারের সঙ্গে ফেক ফিল্ডিং নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু সেখানেও আম্পায়াররা বাংলাদেশের অভিযোগ গুরুত্ব দেননি। জানিয়েছিলেন, তারা ওই ঘটনা দেখেননি। তাতে ৫ রানের পেনাল্টি







থেকে বেঁচে যায় ভারত। বাংলাদেশের হাতছাড়া হয় গুরুত্বপূর্ণ ৫ রান। ম্যাচ শেষে এই ৫ রানের ব্যবধানই বড় হয়ে দাঁড়াল। সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সপ্তম ওভারের খেলা চলার







সময় অক্ষর প্যাটেলের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের সীমানার দিকে খেলেছিলেন লিটন। সেখানে ফিল্ডার ছিলেন আর্শদীপ সিং। আর্শদীপের থ্রো উইকেটকিপার দীনেশ কার্তিকের কাছে পৌঁছানোর







আগেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা বিরাট কোহলি থ্রোয়ের মতো অঙ্গভঙ্গি করেন। ক্রিজে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু







আম্পায়ার জানান, তিনি দেখেননি! ‘ক্রিকবাজ’-এর সঙ্গে এক ভিডিও আলাপচারিতায় বীরেন্দ্র শেবাগের কাছে জানতে চাওয়া হয় কোহলির ফেইক ফিল্ডিং প্রসঙ্গে। জবাবে শেবাগ বলেন, “সেটা ওই
সময়ই তারা কেন আম্পায়ারকে জানায়নি?” উপস্থাপক তখন জানান, শান্ত আর লিটন দাস ওই সময় উইকেটে ছিলেন। শেবাগ এরপর বলেন, ‘ক্রিজে যে-ই থাকুক না কেন, আম্পায়ারকে কেন বলেনি?’
উপস্থাপক তখন বলেন, ‘আম্পায়াররা বিষয়টি দেখেননি।” তখন শেবাগ বলেন, “কোনটা সঠিক ছিল আর কোনটা ভুল ছিল সেই রায় আমি-আপনি দিতে পারি না। দিনশেষে এটা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা উচিত নয়। মেনে নিচ্ছি, বিরাট কোহলি যা করেছে, তা ভুল ছিল। কিন্তু সেটা আম্পায়ারের কাছে মনে হয়নি বা তারা দেখেনি। “এমনটা (ফেইক ফিল্ডিং) তখনই হয় যখন বল
আপনার কাছে গেছে, আপনি বল ধরতে গিয়ে পিছলে গেলেন এবং থ্রো করার ভঙ্গি করলেন―সেটা ফেইক ফিল্ডিং। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগ (আসলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট) থেকে একজন (আর্শদীপ)
বল থ্রো করেছে, আর মাঝপথে দাঁড়ানো কোহলি থ্রোয়ের ভঙ্গি করেছে, যার কাছে বলই ছিল না!”