






নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আশা জাগিয়েও ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দলের সংগ্রহ চার পয়েন্ট। অবস্থান করছে টেবিলের চার নম্বরে। \ভারত বনাম বাংলাদেশ







ক্রিকেট ম্যাচ মানেই নানা নাটকীয়তা, নানা বিতর্ক, নানা কান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে আম্পিয়ারদের নানা কান্ড নিয়ে অভিযোগ







উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভিতে আফ্রিদি বলেছেন, “টিভির পর্দাতেই দেখা গেছে সাকিব এ (মাঠ ভেজা)







নিয়ে কথা বলেছে। দেখতেই পারছেন মাঠ ভেজা ছিল। আমার মনে হয়, ভারতের দিকে পক্ষপাত ছিল আইসিসির”। “তারা ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করতে চেয়েছে। ভারত-পাকিস্তান







ম্যাচের আম্পায়াররাই কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দায়িত্বে ছিলক্রিকেট বিশ্ব জানে, তাঁরাই সেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাবেন।” ভারতের বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিংয়ের অভিযোগ তুলেও আম্পায়ারের







সাড়া পায়নি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে এই অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। এমন পরিস্থিতিতে আইসিসিকে সমালোচনার চরম তোপের মুখে ফেলে







দিয়েছে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। এমন অবস্থায় কিছুটা হলেও চাপে থাকবে আইসিসি। এমন হারের পর নিজেদের আবেগ থেকে ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ক্রিকেটভক্তরা। কিন্তু







ক্রিকেট ইতিহাসে যা কখনোই সম্ভব না। সমান পয়েন্ট নিয়ে একধাপ এগিয়ে আছে পাকিস্তান। শীর্ষে থাকা ভারতের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা।







নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে সাত পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার নিশ্চিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। গত কয়েক মাস ধরেই টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে







চলমান বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। যার ফলে কাগজে-কলমে এখনও টিকে আছে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন। ম্যাচ জয়ের হিসেব কিংবা পারফরম্যান্স সবদিক
থেকেই বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা আসর এটি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল রেকর্ড। সুপার টুয়েলভ পর্বে এটিই ছিল
বাংলাদেশ প্রথম জয়। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও জিতেছে টাইগাররা। প্রথম রাউন্ড ছাড়া এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো আসরে একাধিক ম্যাচ জিতেছে তারা। বিশ্বকাপে যে একটিও
ম্যাচও জিততে পারবে এমন আশাও ছেড়ে দিয়েছিল সবাই। কিন্তু শেষ ম্যাচ পর্যন্ত সেমির সমীকরণে শক্তভাবে টিকে থাকাটাও যেন একটা অর্জন। শক্তিমত্তার বিচারে বাংলাদেশের বিপক্ষে এগিয়ে
ছিল ভারত। ম্যাচের আগে স্পষ্ট ফেভারিট ছিল রোহিত শর্মার দল। কিন্তু বাইশগজে দুই দলের পারফরম্যান্সে খুব একটা পার্থক্য ছিল না। যার শুরুটা হয়েছিল তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে।
আর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস। তার ব্যাটেতো রীতিমতো ভয় ধরেছিল রোহিতের দলের। তবে লিটনের সেই ঝড় থামিয়েছে অ্যাডিলেডের বৃর্ষ্টি। শেষ পর্ন্ত ডিএল মেথডে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।