






চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারত যখন ১৬৮ রান করেছিল, তখন দারুণ এক লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু অ্যাডিলেড ওভালে ভারতীয় বোলারদের







পাত্তাই দিলেন না ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। যার ফলে ১৬ ওভারেই বিনা উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ইংল্যান্ডের এমন মহাকাব্যিক







জয়ের ম্যাচে বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে গেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে সব রেকর্ড সম্পর্কে- টস জিতে বিজয়ী: অ্যাডিলেড ওভালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো টসে জেতার







পর ম্যাচও জিতল কোনো দল। এর আগে ১১ ম্যাচেই হেরেছিল টসে জেতা দল। ১৬৮ রান তাড়া করে জয়: অ্যাডিলেড ওভালে এর আগে এত রান তাড়া করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জেতেনি







কোনো দল। আগের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডেরই, ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে গিয়েছিল তারা। এবার নিজেদের সেই রেকর্ডই ভেঙে দিলেন ইংলিশ ওপেনাররা। ২৪ বল হাতে







রেখে জয়: অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ড জিতেছে ২৪ বল হাতে রেখে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অব্যবহৃত বলের রেকর্ড ছুঁল ইংলিশরা। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও শ্রীলঙ্কার







বিপক্ষে ২৪ বল হাতে রেখে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে সেবার লক্ষ্য ছিল ১২৯ রান। এ তালিকায় পরের নামটিও ইংল্যান্ড, ২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়েছিল ১৭ বল বাকি







রেখে। সেমিফাইনালে ১০ উইকেটের জয়: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এই প্রথম ১০ উইকেটে জিতল কোনো দল। এর আগে সর্বোচ্চ ৭ উইকেটে দুবার জিতেছিল ইংল্যান্ড (২০১৬ ও ২০১০), একবার







করে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতের দ্বিতীয় ১০ উইকেটে হার: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেটে হারল ভারত। গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে এ ব্যবধানে হেরেছিল তারা, তবে







সেটি ছিল সুপার টুয়েলভে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের জুটি: চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন।







বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে এর আগের সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের। গত বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষেই পাকিস্তানের দুই ওপেনার অবিচ্ছিন্ন ছিলেন ১৫২ রানের জুটি গড়ে, সেটিও
রান তাড়ায়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ১০৫ রানের, সেটিও বাবর-রিজওয়ানের, গত সেমিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এখন যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ জুটিটি জস বাটলার
ও অ্যালেক্স হেলসের। ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ: আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি এখন হেলস-বাটলারের। এর আগের রেকর্ডেও ছিলেন হেলস, মাইকেল লাম্বের সঙ্গে
২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যোগ করেছিলেন ১৪৩ রান। ৮০-৯৯* রানের ইনিংস: হেলস ও বাটলার, দুজনই পেরিয়েছেন ৮০, দুজনই ছিলেন অপরাজিত, কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি কেউ। টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে এমন ঘটনা এই প্রথম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই এমন ঘটনা মাত্র দ্বিতীয়। এ বছর জিব্রাল্টারের দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বুলগেরিয়ার দুই ওপেনার বালাজি পাই (৮৬) ও
লুইস ব্রুস (৯৯) অপরাজিত থাকলেও অবশ্য দলকে পার করাতে পারেননি। নকআউটে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল বা ফাইনালে হেলসের ইনিংসটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। তাঁর
ওপরে আছেন শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান (৯৬*) ও বিরাট কোহলি (৮৯*)। নকআউটে সর্বোচ্চ ছক্কা: আজ ৭টি ছক্কা মেরেছেন হেলস। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সর্বোচ্চ এটি। এর আগে
৬টি করে ছক্কা মেরেছিলেন মাইক হাসি, ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস।