






আধুনিক ক্রিকেটে ওয়ানডে সংস্করণে হরহামেশায় তিন শতাধিক রানের ইনিংস দেখা যাচ্ছে। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ তাই ব্যাটারদের তাগিদ দিলেন বোলারদের রসদ এনে দিতে ব্যাটসম্যানরা







যেন ২৮০-৩০০ রান করে দেয়। আর দুই সপ্তাহ পরেই ঘরের মাঠে ভারতের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণ







খেলে নিজেদের প্রস্তুত করছেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের স্কোয়াডও এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এই টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সও অবদান রাখবে ভারতের বিপক্ষে স্কোয়াড গঠনে। তাছাড়া দীর্ঘদিন পর







ওয়ানডে খেলতে পেরে ক্রিকেটাররাও সন্তুষ্ট। চলমান বিসিএলের কার্যকারীতা নিয়ে মিরাজ বলেন, “একটা সিরিজের আগে এটা (বিসিএলে ভালো খেলা) একজন খেলোয়াড়কে মানসিকভাবেও শক্তিশালী







করবে। কারণ তিন থেকে চার মাস ওয়ানডে খেলা ছিল না। সবাই টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এটা ভালো একটা জিনিস যে ওডিআই সিরিজের আগে আমরা ওয়ানডে খেলছি। চার মাস যে আমরা







ওয়ানডে খেলার বাইরে ছিলাম সেটা আর মনে হবে না। সিরিজে আমাদের অনেক সহায়তা করবে।” বিসিএলের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ ২৫৪ রানের ইনিংস এসেছে পূর্বাঞ্চলের ব্যাট থেকে। মিরাজের দল







অলআউট হয়েছে ২০০ রানেই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে যেভাবে খেললে ভালো করা যাবে না তা আগেই সতর্ক করে দিলেন মিরাজ। এমনকি ২৫০-২৬০ রানকেও তিনি নিরাপদ মনে







করছেন না। ভারতের বিপক্ষে ভালো করতে হলে অন্তত ২৮০-৩০০ রান করার তাগিদ দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। মিরাজের ভাষ্যমতে, “এখন ওয়ানডে ক্রিকেটে কিন্তু ২৮০ থেকে ৩০০ রান করতে







হবে, তাহলে বোলাররা তা মোকাবেলা করতে পারে। এটা অভ্যাসও। আমরা মাশাআল্লাহ ওয়ানডে ক্রিকেটে ভালোই খেলছি। তিন শতাধিক রানও আমরা করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন ২৫০-২৬০ নিরাপদ







না। ২৮০ বা ৩০০ রান করতে হবে। এইজন্য অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিতে হবে। প্রথম পাঁচজন ব্যাটসম্যানকে দায়িত্ব সহকারে খেলতে হবে, তখনই ২৮০-৩০০ রান করা সম্ভব। ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও জানান প্রতিনিয়ত ছোট ছোট পরিবর্তনে নিজের উন্নতি সাধনের চেষ্টা করছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। সবচেয়ে বড় কথা হলো একজন বোলারের জন্য চ্যালেঞ্জ নেওয়া
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি যখন খেলি, চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতেই পছন্দ করি। সামনে ভারতের সাথে ম্যাচে অবশ্যই মানসিকভাবে অনেক দৃঢ় হতে হবে। যে অভাবগুলো আছে, সেগুলোতে উন্নতি
করার চেষ্টা করতে হবে। ম্যাচ খেললাম। ম্যাচ শেষে আবার অনুশীলন করব, কোচের সাথে কথা বলব। ছোট ছোট উন্নতি করতে পারলেও আরো বেশি সফল হবো ইনশাআল্লাহ।”