






দুইটি চারদিনের ম্যাচ খেলতে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সফরে তামিলনাড়ু একাদশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইনিংস ও ৪ রানের ব্যবধানে জিতেছিল মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন







দল। কিন্তু দ্বিতীয় ও শেষ চারদিনের ম্যাচটি বৃষ্টির কবলে পড়ে কোনোরকম লড়াই ছাড়া ড্রতেই নিষ্পত্তি হলো। যার ফলে ভারত সফরে তামিলনাড়ু একাদশের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল







মুমিনুল-তাইজুলরা। চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দল তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। জবাবে চতুর্থ দিন







তামিলনাডু ২২ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ৬২ রান তুলতেই আবারও বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে আম্পায়াররা ম্যাচ ড্র নির্ধারণ করেন। প্রথম দিন ব্যাটিংয়ে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় কোনো রান না







করেই সাজঘরে ফেরেন। তবে সাদমান ইসলাম ২২ ও সাইফ হাসান ২০ রান করে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। ৯ রানে মুমিনুল ও ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এরপর







বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়ায়নি। তৃতীয় দিনে খেলা হয় মাত্র ২৫ ওভার। এদিন ব্যর্থ হয়েছেন তিন ব্যাটার, মিঠুন (২৬ বলে ১৪), তৌহিদ হৃদয় (৯) ও জাকের আলি অনিক (০)। তৃতীয়







দিন শেষ হয় ১১৪ রানে, যদিও দলীয় ৯৬ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে মুমিনুল ২৭ ও তাইজুল ৯ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করার সুযোগ পান। এর মধ্যেই মুমিনুল-তাইজুল







৯৫ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন। বাংলাদেশ দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ১৭৭ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৬৯ রান করেন মুমিনুল। তাইজুল ৯১ বলে ৩ চারে
৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এরপর মাত্র ২২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় তামিলনাডু একাদশ। যেখানে শুরুতেই ওপেনার কৌশিক গান্ধী (০) এলবিডব্লিউ হন পেসার খালেদ আহমেদের
বলে। এরপর ৫৪ রানের জুটি গড়েন শ্রীধর রাজু ও মকিত হরিহরন। মকিতনকে ২১ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। এরপর আর ৬.১ ওভার মাঠে গড়ায় খেলা।
তাতেই তামিল দলটি ২ উইকেটে ৬২ রান তুলতেই আবারও বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে আম্পায়াররা ম্যাচ ড্র নির্ধারণ করেন। ৩৪ রানে শ্রীধর ও ৫ রানে অধিনায়ক প্রাদশ রঞ্জন পাল অপরাজিত
ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র হওয়ায় তাই সিরিজ জিতে নিল মিঠুনের দল।